parbattanews

কক্সবাজারে মহাবিপদ সংকেত, উপকূলে উদ্বেগ আতঙ্ক

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে জারি করা হয়েছে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। এতে করে গোটা উপকূলীয় এলাকায় দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-আতঙ্ক।

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল যে মহা প্রলয়কারী ঘূর্ণিঝড় বয়েছিল তার অনুরূপ এই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানও শক্তিশালী বলেই জানা গেছে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল পূর্ণিমার কারণে সাগরে জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। আর আজ আমাবস্যার কারণে এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাগরে ১০ থেকে ২০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩২ নং বিশেষ বুলেটিনে সকাল ১০ টা থেকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে উপকূলে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়।

কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সম্পর্কে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জেলার আটটি উপজেলায় ৫৭৬ সাইক্লোন শেল্টার এবং দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাথে রয়েছে জেলার ৭১ ইউনিয়নের ৬ হাজার ৪৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক।

পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৮ জন চিকিৎসকের একটি দল।

ওদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনাবাহিনী ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়ে প্রস্ততুত রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ক্ষতি মোকাবলায়।

উখিয়া-টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া উপকূলীয় এলাকায় মাইক দিয়ে প্রচার করে নিম্নাঞ্চলের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে।

কক্সবাজার এলাকায় সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও দুপুরের দিকে প্রবল দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

Exit mobile version