parbattanews

কক্সবাজারে মুক্তিপণের টাকাসহ আটক ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য কারাগারে

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

টেকনাফের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুরকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার ডিবি পুলিশের সাত সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবার) আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে টেকনাফের ব্যবসায়ী ভিকটিম আব্দুল গফুর বাদী হয়ে অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি থানায় দায়ের করে তাদের বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার আদালতে তোলা হয়। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেনের আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, টেকনাফে ব্যবসায়ী গফুরকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে ফেরার সময় সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন ডিবির এই সাত সদস্য। টেকনাফের মেরিনড্রাইভ সড়কে তাদেরকে ধরা হয়। সেনাবাহিনীর তল্লাশির সময় ব্যবসায়ীর টাকা লুটপাটকারী পুলিশের আরেক উপ-পরিদর্শক গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে পালিয়ে যান। সেনা সদস্যরা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ তাদেরকে আটক করেন।

টেকনাফে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় স্থাপিত সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের প্রধান মেজর নাজিম আহমদ বলেন, ‘টেকনাফের মধ্যজালিয়া পাড়ার মৃত হোসেন আহমদের ছেলে আবদুল গফুরেরর স্বজনরা অভিযোগ করেন যে মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহর থেকে কিছু লোক গফুরকে ধরে নিয়ে টাকা দাবি করেছে। বুধবার ভোরে ১৭ লাখ টাকার বিনিময়ে গফুরকে একটি মাইক্রবাসে করে টেকনাফে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

’সাত ডিবি সদস্যকে আটকের বর্ণনা দিয়ে মেজর নাজিম আরো বলেন, ‘মাইক্রোবাসটি সকালে মেরিনড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারে চলে যাচ্ছে এমন তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের সেনা চেকপোস্টে মাইক্রোবাসটি থামানো হয়। সেনাবাহিনী  মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করতে চাইলে যাত্রীরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়।’‘এসময় সেনা সদস্যরা গাড়ি তল্লাশি করতে চাইলে এক ব্যক্তি গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। পরে গাড়ি তল্লাশি করে হলুদ রংয়ের কাপড়ের প্যাকেট থেকে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়,’ বলেন মেজর নাজিম।

আবদুল গফুরের ভাই টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান জানান, তার ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে টাকার দাবি করার বিষয়টি সেনা বাহিনীকে জানানো হয়। টাকা প্রদান করে ভাইকে মুক্তি করার পর সেনা বাহিনীর সহায়তায় টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

Exit mobile version