কক্সবাজারে স্বেচ্ছায় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছে দুর্গত মানুষজন

fec-image

ঘূর্ণিঝড় মোখার সতর্ক সঙ্কেত কেটে যাওয়ার সংবাদে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজ গন্তব্যে ফিরছে আশ্রিত মানুষজন।

রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যারেটরী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় কক্ষ খালি। গবাদিপশুসহ নিয়ে চলে গেছে এখানে আশ্রিত লোকজন।

একই চিত্র সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মহিলা কলেজ, ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা, তৈয়বিয়া তাহেরিয়া, বিমানবন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উমিদিয়া মাদ্রাসা, পেশকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, কর্মীরাও আশ্রিত লোকদেরকে নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে উৎসাহিত করছে।

কক্সবাজার পৌরসভাসহ জেলার ৮টি উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৭ হাজার ২৪১ জন আশ্রয় গ্রহণ করে। যার অর্ধেকের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে চলে গেছে।

যারা থেকে গেছে তাদের রাতের খাদ্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেককে খাদ্য বিতরণ করতে দেখা দেখেছে।

জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা উবায়ে বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের অনেকে বাড়িতে যাওয়া শুরু করেছে।

শহরের পশ্চিম কুতুবদিয়াপাড়ার বাসিন্দা আলী আজগর পরিবারের ১১ সদস্য ও ৫টি ছাগল নিয়ে কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে শনিবার (১৩ মে) রাত থেকে অবস্থান করে রোববার (১৪ মে) রাতে বাড়ি ফিরছেন।

তিনি বলেন, পরিবারের ১১ জন মানুষ নিয়ে স্কুলে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমায় স্বেচ্ছায় বাড়ি ফিরছি। আমাদের মতো অনেকেই নিজ নিজ বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন।

তবে সমিতি পাড়ার জসিম-কলি দম্পতি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তাদের জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক টিমে থাকা কর্মীরা।

আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আলমগীর হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে গেছে জেনে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাড়ি চলে যাবো। বাড়িতে আমাদের অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র ফেলে এসেছি। সেগুলো চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে বাড়ি ফিরছি।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও আমরা আশ্রয়ে থাকা মানুষগুলোকে বাড়ি যেতে বলছি না। বৃষ্টি আর জোয়ার কমে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আশ্রয়কেন্দ্র, কক্সবাজার, মানুষ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন