parbattanews

কক্সবাজারে সড়কজুড়ে অবৈধ পার্কিং, বাড়ছে দুর্ঘটনা

কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার লিংকরোডে অবৈধ গাড়ি পার্কিং যেন থামছেই না। সড়কের দুই পাশে সিএনজিসহ বিভিন্ন বাস দাঁড়িয়ে থাকা নিত্যদিনের চিত্র। এতে করে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আর এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং।

বিগত ১ বছর ধরে তুলাবাগান হাইওয়ে পুলিশ ও কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশে অনেকবার অভিযোগ দিয়েও সুরাহা মেলেনি। রয়েই গেছে অবৈধ গাড়ি পার্কিং। কয়েকদিন আগে ‘নো পার্কিং’ লিখে সাইনবোর্ড টানায় কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশ। সেই সাইনবোর্ডটিও গায়েব করে ফেলে দখলবাজদের সংঘবদ্ধ একটি দল। ব্যস্ততম লিংকরোড স্টেশনটি ত্রিমুখী স্টেশন। কক্সবাজার চট্রগ্রাম ও লিংকরোড হতে টেকনাফের যাত্রী উঠানামা করে দিনরাত। চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজারমুখী দ্রুত গতির বিভিন্ন গাড়ি থামে স্টেশনে। এর কারণে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কে অবৈধ পার্কিং করা সিএনজি ড্রাইভার ও সংঘবদ্ধ একটি দল সেখানে দখল-বাণিজ্য সৃষ্টি করছে। তারা রাস্তার উপরে স্থায়ী স্টেশন বসিয়েছে। যত্রতত্র পার্কিং এর জন্য লিংকরোডের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। লেগে থাকে যানজট। স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ যারা সমিতির নামে সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। দাবিকৃত চাঁদা না পেলে গাড়ি দাঁড়াতে দেয়া হয় না।

ব্যবসায়ীরা জানান, লিংকরোড স্টেশনে কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও নেই সার্জেন্ট। তাই এই মুহূর্তে লিংকরোড স্টেশনে পুলিশ সদস্য বাড়ানোর পাশাপাশি দুইজন অন্তত সার্জেন্ট থাকা জরুরি। অবৈধ গাড়ি ও অবৈধ পার্কিং এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার এখনি সময়। একটু দেরি হলে তারা স্থায়ী স্টেশন বানিয়ে ফেলবে। এতে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবার পাশাপাশি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশ টিআই এডমিন আমজাদ হোসেন বলেন, সড়কে বেপরোয়া সিএনজি পার্কিং এর বিষয়টা জানতাম না। শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিংকরোড একজন সার্জেন্ট দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এসপি বরাবর একটি লিখিত দরখাস্তের পরামর্শ দেন। দরখাস্ত দিলে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান। সেই সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশে লোকবল সংকট বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Exit mobile version