parbattanews

কক্সবাজারে ৪০টি পুনর্বাসিত সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র হস্তান্তর করেছে “ডব্লিউএফপি‘’

উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ৪০টি পুনর্বাসিত সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র হস্তান্তর কার্য উদ্ভোধন করছেন অতিথিরা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ৪০টি নতুনভাবে পুনর্বাসিত সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র হস্তান্তর করেছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর শীলখালী এলাকায় একটি পুনর্বাসিত আশ্রয়কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্র গুলো হস্তান্তর করেন সংস্থাটি। এতে ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয় এবং ডব্লিউএফপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংস্থাটি জানিয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো জরুরি পরিস্থিতিতে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষকে রক্ষা করবে। ডব্লিউএফপি ডিসাসটার রিসিলিআন্সপ্রোজেষ্ট এর প্রথম পর্যায়ের অংশ হিসেবে এগুলো কাঠামোগতভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আরো ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ এবং সাড়া দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার এবং সম্প্রদায়ের সক্ষমতা জোরদার করা ডব্লিউএফপি ডিসাসটার রিসিলিআন্সপ্রজেষ্ট এর অন্যতম লক্ষ্য। ছয় মাসব্যাপী পুনর্বাসন কাজের মাধ্যমে এই প্রজেষ্ট কক্সবাজার জেলার স্থানীয় প্রায় ৪ হাজার ৪‘শ জন মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে।

ডব্লিউএফপি কক্সবাজারের এমারজেন্সিকো-অরডিনেটর পিটার গেস্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে কক্সবাজার অন্যতম। এ কারণেই আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জীবন রক্ষা করতে স্থানীয় জনগণের সহনশীলতা বাড়ানোর জন্য অগ্রধিকার দিচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস এই পুনর্বাসন কাজগুলো এই অঞ্চলের মানুষের জীবনে টেকসই এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

কাঠামোগুলোকে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার সময় আরও দৃঢ়ভাবে সক্ষম করতে ডব্লিউএফপি ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে বিদ্যুত সরবরাহের জন্য সৌর প্যানেল স্থাপন করেছে এবং সেগুলোর প্রত্যেকটিতে পানি এবং স্যানিটেশন সুবিধা যুক্ত করেছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো.শাহজাহান আলি জানান- ‘আমি ডব্লিউএফপি এবং ইউএসএএইডি, ওএফডিএ এর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা এবং প্রশংসা জানাই তাদের যোগ্যনেতৃত্ব এবং কক্সবাজারের আক্রান্ত স্থানীয় সমাজের প্রতি তাদের কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতির জন্য যা একান্তভাবে প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন,  এই সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো অন্যান্য অভিযোজন অবকাঠামোগুলোর সাথে বিশেষত বৃষ্টিপাত এবং বন্যার তীব্রতার সময় স্থানীয় সম্প্রদায়ের সহনশীলতা বাড়াতে অবদান রাখবে।

ইউএসএআইডি এর ইউএস ফরেন ডিসাসটার অফিসার মিস রেচেল গালাগার জানান, বেশির ভাগ সময় এই দালানগুলো স্কুল বা মিউনিসিপাল অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু যখন পরবর্তী দুর্যোগ আঘাত হানবে, এই পুনর্বাসিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর প্রত্যেকটি প্রায় এক হাজার মানুষকে বন্যা, ভূমিধ্বস, বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া থেকে বাঁচাতে পারবে।

 তিনি আরও বলেন, আমরা কক্সবাজারকে দুর্যোগের বিরুদ্ধে আরো সহনশীন করতে যা কাজ করেছি এবং ডব্লিউএফপি, স্থানীয় এনজিও, বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের স্বাবলম্বনের যে যাত্রা তার সহযোগী অংশীদারত্ব নিয়ে অনেক গর্বিত। ডব্লিউএফপি ২০২০ সালের মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আরও ৪০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র পুনর্বাসন করার আশা করছে।

Exit mobile version