parbattanews

কক্সবাজারে ৬ ব্যবসায়ীকে ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

 

বড়বাজার ও বাহারছড়া বাজারে পণ্যদ্রব্য ও ঈদ বাজারে পোশাকের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে মেগামার্ট, সানাসহ ৬ ব্যবসায়ীকে ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত শহীদ পিংকি এই অভিযান চালায়।

অভিযানে মেগামার্টে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা ঠকানোর এলাহী কারবার। পোশাকের পাইকারী ক্রয় মূল্যের ভাউচার চাওয়া হলে দোকান কর্তৃপক্ষ দিতে গড়িমসি করে। এক পোশাকের জায়গায় অন্য পোশাকের পাইকারী ক্রয়মূল্য দেখিয়ে মোবাইল কোর্টকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়।

তাই পোশাকের ক্রয়-বিক্রয় মূল্যের সামঞ্জস্যতা না থাকা, অতিরিক্ত মুনাফা নেয়ার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪০ ও ৫৩ ধারামতে মামলা নম্বর-৩৩/২০১৯ মূলে মেগামার্টের মালিক জহিরুল ইসলামকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩০ দিন জেল দেয়া হয়। একই ভাবে সানা ক্লথ ষ্টোরে গিয়েও দেখা যায় ক্রেতা ঠকানোর বাহারি আয়োজন। এখানে অধিকাংশ পোশাকের ক্রয় ভাউচার নেই। যাতে ইচ্ছেমতো মুনাফা লুফে নেয়া যায়। এই অবস্থায় মোবাইল কোর্ট সানার সত্বাধিকারি মোক্তার আহমদকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৯ ও ৫৩ ধারামতে মামলা নম্বর-৩৪/২০১৯ মূলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১৫দিন জেল দেন।

এর আগে এ,ছালাম শফিং কমপ্লেক্সের সাকিব বস্ত্র বিতানের কর্ণধার মো. সেলিমকে ক্রয় মূল্য ভাউচার না থাকা, অধিক মুনাফা লাভের অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪০ ধারামতে মামলা নম্বর-৩২/২০১৯ মূলে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  এসব ব্যবসায়ীসহ পরিধান বস্ত্র বিতান, সীমা ফ্যাশনসহ কয়েকটি দোকানকে প্রতিটি পোশাকে মূল্য ট্যাগ লাগানোর আদেশ দেয়া হয়।

এছাড়া সেবার মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করা ও অবৈধভাবে রাস্তার উপর পণ্য রাখায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৯ ধারা অনুযায়ী মোহাং ইব্রাহিমকে ২ হাজার টাকা, অতিরিক্ত মূল্য আদায় করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪০ ধারায় কামাল হোসেনকে ২ হাজার টাকা, নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায় ও অনুমোদনবিহীন লেভেলবিহীন খেজুর প্যাকেটজাতকরণ এবং বিএসটিআই অনুমোদনবিহীন থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ও ৪৩ ধারায় মুদি ব্যবসায়ী সৈয়দ মোজাফ্ফর আহাম্মদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত শহীদ পিংকি বলেন, কাপড়ের দোকানগুলোকে প্রকাশ্যে মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ জন্য সময়সীমাও বেধে দেয়া হয়। পুরো রমজান মাসে জুড়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে জেলা মার্কেটিং অফিসার মো: শাহজাহান, জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর তরুণ বড়ুয়াসহ আর্মড ব্যাটালিয়ান ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version