কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে দীর্ঘ যানজট, জনদূর্ভোগ চরমে

fec-image

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক সংস্কার কাজ নব্বই শতাংশ শেষ হলেও দীর্ঘ যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণের। বাকী অংশে খানা খন্দের কারণে তীব্র যানজট লেগে থাকে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। কক্সবাজারের সড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এই কাজের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৯০কি.মি দূরত্বের সড়কটির তিনটি পৃথক প্রকল্পের আওতায় ৭৯ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার ও উন্নয়নকাজে ৪৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দুটি প্রকল্পের অধীনে ৫০ কিলোমিটারের সংস্কারকাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত কাজে অগ্রগতি হয়েছে ৯০ শতাংশ। প্রথম প্রকল্পের আওতায় ১২২ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ২৫ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে তিন ফুট করে সম্প্রসারণ করে সড়কটি ২৪ ফুট প্রস্থে উন্নীত করা হচ্ছে। যা লিংক রোড থেকে উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত কাজের ৯০শতাংশ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় উখিয়া ফায়ার সার্ভিস থেকে টেকনাফের উনচিপ্রাং পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারে সড়ক উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে ১৫৪ কোটি টাকা।

২০২০ সালের জুনের মধ্যে এই ৫০ কিলোমিটারের কাজ শেষ হলে তৃতীয় প্রকল্পে অবশিষ্ট ১৮২ কোটি টাকায় টেকনাফ পর্যন্ত আরও ৩০ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়নকাজ শুরু হবে।

এর কারণ জানতে চাইলে সওজ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, সড়কটির প্রশস্থ ১৮ থেকে ৪৫ ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। তবুও যত্রতত্র গাড়ি এবং ইজিবাইক পার্কিংয়ের কারণে যানজট লেগে থাকে। সড়কের কিছু অংশে প্রভাবশালী মহলের দখলে থাকার কারণে বাকী অংশের কাজটি করা সম্ভব হয়নি। গত ১৯ জুলাই তা নিরসন হয়েছে। দ্রুত সময়ে বাকী অংশের কাজটিও শেষ করা হবে বলে জানান।

পথচারী জসিম নামে একজন বলেন, দীর্ঘ যানজটের কারণে গাড়ি চলাচল ছাড়াও সাধারণ মানুষের রাস্তা পারাপারে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাব’র সাধারণ সম্পাদক পলাশ বড়ুয়া বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক সংস্কার কাজের ধীরগতি ও ট্রাফিকিং অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। শতশত এনজিও’র গাড়ীর বহরের কারণে এই ধরণের যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই এনজিও গুলোর অফিস রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক স্থানান্তর করে সড়কের পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা কার্যকর করা হলে যানজট নিরসন হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) বাবুল চন্দ্র বণিক বলেন, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাফিক নিয়োজিত রয়েছে। উখিয়া এবং কোটবাজার স্টেশনের কিছু অংশে সড়কের সংস্কার কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি তাই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কের মাঝে ডিভাইডার দিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা নিরসন করা হবে বলেও তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, টেকনাফ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন