parbattanews

কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটে মুসলিম নারীদের হিজাবে ক্ষুব্ধ করুণা রানী বেপারী

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার অজুহাত দেখিয়ে মুসলিম নারীদের হিজাব পরতে বাধা দিচ্ছেন কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ করুণা রানী বেপারী।

শুধু হিজাব এবং বোরকা পরতে বাধা নয়, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবেও হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে ওই হিন্দু নারী ইনচার্জের বিরুদ্ধে। যে কারণে গত কয়েক দিন ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করুণা রানীর বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও করুণা রানী হাসপাতালে নার্সদের হিজাব পরায় বাধা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। বারবার তার এমন কর্মকাণ্ডে খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে নার্সিং ইনচার্জ করুনা রানী বেপারী বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী আমার এখানে কেউ হিজাব ও বোরকা পড়তে পারবে না।

কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনাচর্জ করুনা রানী বেপারী মানসিক এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। আমাদের হিজাব পড়তে বারণ করছেন এবং কেউ পড়লে তাকে হেনস্তা করেন। এছাড়া ইনস্টিটিউটে কোন মুসলিম মেয়ে বোরকা পড়লে তাকে চরমভাবে নাজেহাল করছেন।

চরম ক্ষোভের সাথে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে হিজাব এবং বোরকা পড়তে অভ্যস্ত। কিন্তু এখানে পড়তে এসে চরম বিপাকে পড়েছি। আমাদের ইনচার্জ কোন ভাবেই হিজাব বা বোরকা পড়তে দেয়না। মুলত আমাদের যে খাবার দেয়া হয়, তা খুবই নিম্নমানের। যা মোটেও খাবার উপযুক্ত না। এছাড়া রুমে যেভাবে ফ্যান ছাড়া বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকি সেটা কেউ চোখে না দেখলে বুঝবে না। তবুও এসব বিষয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই।

তিনি বলেন, ৩ বছরের জন্য পড়তে এসেছি। কারো সঙ্গে বিরোধে জড়াতে চাইনা। তবে যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সেই দেশে কিভাবে হিজাব পড়া নিষিদ্ধ হয় আমরা বুঝি না।

আরেক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, করুণা রানী বেপারী চরম ইসলাম বিদ্বেষী। তিনি বারবার হিজাব নিয়ে মাথা ঘামান। অথচ সরকারের নির্দেশনায় ড্রেসকোডে হিসাব না পরার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।  কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ১৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২০ জন মুসলিম।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: মো: আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর হাসপাতালের সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। হিজাব পরতে এখন আর কাউকে বাধা দিচ্ছে না করুণা রানী বেপারী।

Exit mobile version