কক্সবাজার পাহাড় কাটার দায়ে পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা, একজনকে অর্থদণ্ড

Cox Enty Hill cuting drive 03

আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
অবশেষে কক্সবাজারে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ ও কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকারী টিমটি প্রথমে শহরের কলাতলী টিএনটি পাহাড় এলাকায় যায়। সেখানে কর্মকর্তারা দেখতে পান যে, ইলিয়াছ সওদাগর ও ইব্রাহিম চৌধুরী পাহাড় কেটে বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করে। ওই সময় অভিযানকারী টিমের সাথে জনৈক ইলিয়াছ সওদাগরের স্থাপনায় থাকা ভাড়াটিয়া রোহিঙ্গা হট্টগোল সৃষ্টি অপচেষ্টা করে।

এরপর অভিযান চালানো হয় বহুল আলোচিত ৫১ একর এলাকা, লাইট হাউজ পাড়া, সার্কিট হাউজ সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায়। লাইট হাউজ এলাকায় পাহাড় কাটার সময় এক শ্রমিককে হাতে-নাতে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত।  
জেলার প্রশাসন ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমদ জানিয়েছেন, “মানবিক বিষয় বিবেচনা করে ‘ভবিষ্যতে আর পাহাড় কাটবে না’ বলে মুচলেকা নিয়ে এবং এক হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। 

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “অভিযানের সময় পাহাড়ের চুড়ায় এবং পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া পাহাড় কেটে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে ইলিয়াছ সওদাগর, ডা. নুরুল হক, ইব্রাহিম চৌধুরী, বাবুল সহ ৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।”
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কক্সবাজারে যে সব এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস এবং পাহাড় কাটার প্রবণতা বেশি-সে সব এলাকায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন