কক্সবাজার শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে মাঠে প্রশাসন

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

পর্যটন শহর কক্সবাজারে বেদখল হওয়া ফুটপাত উদ্ধারে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা।

জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে শনিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির সামনের ঝুপড়ি দোকানগুলো দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

এসময় উচ্ছেদে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী।

কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের প্রায় স্থানে ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানপাট তৈরি করা হয়েছে। এসব অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নিয়েছে পৌরসভা। এই জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসনের একটি সমন্বয় সভায় ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

উচ্ছেদ কার্যক্রমে নেতৃত্বদানকারী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলী বলেন, জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ পাবলিক লাইব্রেরির সামনের অবৈধ ঝুপড়ি দোকানগুলো উচ্ছেদের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে শহরের ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা সব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে।

উচ্ছেদ কার্যক্রমে সরেজমিনে কথা হলে অবৈধ দোকানদাররা জানান, তারা দৈনিক ১শ’ থেকে ১শ’ ৫০ টাকা দিয়ে দোকানগুলো চালাতেন। কিছু লোকজন এসে দৈনিক তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন। সরকার দলীয় কয়েকজন নেতার হয়ে এসব চাঁদা তোলা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী। এখনকার শহরকে সেভাবে সাজানোর জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে শহরের সব স্থানের ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও শহরে সড়ক ও পৌরসভার জায়গা দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনাগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ৩ দিন আগে মাইকিং করে সকল স্থাপনা সরিয়ে নির্দেশ দেয়া হয়। এর মধ্যে কেউ কেউ সরিয়ে নিলেও অনেকে নেয়নি। উচ্ছেদ কার্যক্রম সব অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন