parbattanews

কক্সবাজার শহরে বাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন স্বচ্ছল রোহিঙ্গারা

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির পরও কক্সবাজার শহরে ঢুকে পড়ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। ভাষাগত এবং চেহারায় মিল থাকায় সহজে রোহিঙ্গারা মিশে যাচ্ছে স্থানীয়দের সঙ্গে। এদিকে গেল এক সপ্তাহে শহরে প্রবেশের সময় ৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মিয়ানমারের মংডুর আলী থোইন গ্রামের স্কুলের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র আব্দুল হামিদ। পড়াশুনায় মেধাবী এই কিশোরের পরিবার বেশ সচ্ছল। দোকান, চাষের জমিসহ কয়েকটি ভাড়ায় চালিত গাড়িও আছে তাদের। কিন্তু নির্যাতনের মুখে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে দুই সপ্তাহ আগে পালিয়ে আসে বাংলাদেশে। দুই দিন পর চলে আসে কক্সবাজার শহরে। ইতোমধ্যে শহরে একটি বাসা ভাড়াও নিয়েছে তারা।

আব্দুল হামিদ নামে এক রোহিঙ্গা জানান, “আমি বার্মায় দশম শ্রেণীতে পড়ি। সেখানে মগ আমাদের উপর নির্যাতন করছে। তাই আমরা বাংলাদেশে চলে এসেছি। আমাদের রাস্তায় পড়ে থাকা সম্ভব নয়। সেখানে বৃষ্টি হয়। তাই কক্সবাজার চলে এসেছি।”

এই রকম লুকিয়ে কক্সবাজার এসেছে আরও অন্তত কুড়ি হাজা পরিবার। মূলত যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তারাই আসছে শহরে। ক্যাম্পে থাকার পরিবেশ না থাকায় এভাবে থাকতে চান তারা।

টেকনাফ এবং কুতুপালং এলাকায় রাস্তাঘাটে থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর হওয়ার কারনে অনেকে আশ্রয় অনেকেই শহরে এসেছে।

শহরে রোহিঙ্গারা সাময়িক আশ্রয় নিলেও তারা বেশীদিন স্থায়ী হতে পারবে না বলে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য। আর পুলিশ জানিয়েছে ক্যাম্পের বাইরে থাকতে পারবে না কোনো রোহিঙ্গা।

পুলিশের দেয়া তথ্য মতে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৬ হাজারের বেশী রোহিঙ্গা ভাড়া করা বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

Exit mobile version