কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন: ৩৯ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ: ভোট কারচুপি হলে তাৎক্ষণিক হরতাল- চেয়ারম্যান প্রার্থী জি.এম রহিমুল্লাহ

Coxs Rohimullah
আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ৩৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন চেয়ারম্যান প্রার্থী জি.এম রহিমুল্লাহ বলেছেন, “ভোট কারচুপি হলে তাৎক্ষণিক হরতাল দেয়া হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকবো।” শনিবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রহিমুল্লাহ বলেন, “কক্সবাজার সদর উপজেলায় লম্বা রহিমুল্লাহ আছে। এখানে বাটি জাফরের প্রয়োজন নেই। কোন বহিরাগত যদি নির্বাচনে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে।” তিনি আরো বলেন, “চকরিয়া উপজেলায় যেভাবে ভোট কেটে নেয়া হয়েছে-ঠিক একইভাবে জাফর চেয়ারম্যান কক্সবাজারেও ঘোড়া মার্কার সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে ভোট কেটে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে।

জি.এম রহিমুল্লাহ হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, “এটি চকরিয়া নয়। কক্সবাজারের জনগণ কোন সন্ত্রাসীকে রায় দিবেনা।” কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে চাইলে তাৎক্ষণিক জনগণকে নিয়ে হরতালের ডাক দেয়া হবে বলেও জানান রহিমুল্লাহ। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, “আমার নির্বাচনী মাঠ কর্মীদের মনোবল ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলার জামায়াতের সেক্রেটারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “জুলুম-অত্যাচার ও গ্রেফতার করে কারো জনপ্রিয়তা ম্লান করা যায়না। বরং হিতে বিপরীত হয়। ঈদগাঁওতে মোটর সাইকেল মার্কার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতন আর জেলে ঢুকিয়ে জনগণের রায় কেড়ে নেয়া যাবেনা।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, “আমি নির্বাচিত হলে‘ জনগণ-প্রশাসন’ সমন্বয় করে কাজ করবো। দলমত নির্বিশেষে জনগণকে সাথে নিয়ে দেশের উন্নয়ন করে যাবে।” “নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, মজলুম, অত্যাচারিত ও ন্যায় বিচার বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি”। যোগ করেন জি.এম রহিমুল্লাহ।
বিএনপির সাথে সমঝোতা করে নির্বাচনে যাওয়া হয়নি কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রহিমুল্লাহ বলেন, ‘‘এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে দল বড় কথা নয়; বড় কথা হলো ব্যক্তি। এটি একটি উৎসবও বটে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় যিনি জয়ী হবেন তিনিই ব্যক্তি হিসেবে যোগ্য। সুতরাং এখানের ব্যক্তির গুরুত্বটা বেশি।”

জি.এম রহিমুল্লাহ ১৯৯২ সালের একটি স্মৃতি টেনে বলেন, “ভারতে যখন হিন্দুরা বারবী মসজিদ ভাংছিল। তখন এখানের কিছু উচ্ছৃংখল লোক কক্সবাজারের মন্দিরে হামলা করতে চেয়েছিল। আমি ৮দিন ৯রাত এখানের মন্দির পাহারা দিয়েছি। যার কারণে কোন অমুসলিম তখন নির্যাতনের শিকার হননি।” তিনি বলেন, “আমার কাছে মানুষই হলো আসল। সব ধর্মের লোকেরা সমানভাবে এখানে বাস করবে। তার প্রমাণ সদর উপজেলার ভারুয়াখালী। আমি আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই বেশি উন্নয়ন করেছি আমার এলাকায়। ”

তিনি ৩৯ টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে পোকখালী ও চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি আশংকা করছেন, “ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্র সমুহে ভোট কারচুপি, কেটে নেয়া, ছিনতাই সহ নানা বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে পারে অন্য প্রার্থীরা। এজন্য তিনি প্রশাসন, আইনশৃংলা বাহিনী ও সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এডভোকেট গোলাম ফারুক খান কায়সার সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী ৩১ মার্চ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন