parbattanews

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে কাছিমের সাড়ে ৪ হাজার ডিম

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন এলাকায় গত ১১ দিনে ৪ হাজার ৫৩৯টি ডিম দিয়েছে মা কাছিম।

অলিভ রিডলি সি টার্টল বা জলপাইরঙা প্রজাতির ৪৩টি মা কাছিম ডিম দিয়ে আবার নিরাপদে সাগরে ফিরে গেছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১১ দিনে টেকনাফের বাহারছড়ার উত্তর শিলখালী, হাজমপাড়া, চৌকিদারপাড়া, বড় ডেইল, কচ্ছপিয়া, উখিয়ার মাদারবুনিয়া, মনখালী, ছোয়ানখালী ও চেপটখালীতে ৪৩টি মা কাছিমের কাছ থেকে ডিম পাওয়া গেছে।

জানা যায়, বেসরকারি সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) কাছিম রক্ষায় ‘নেচার অ্যান্ড লাইফ’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে।

ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে সামুদ্রিক কাছিমের বংশবিস্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের কর্মকর্তা অসীম বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, কোডেকের কর্মীরা সৈকতের বিভিন্ন স্থান থেকে ডিম সংগ্রহের পর সংস্থার পাঁচটি হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর জন্য রেখেছে। ডিম পাড়ার সময় মা কাছিম সৈকতের রৌদ্রোজ্জ্বল ও নির্জন বালিয়াড়িতে জায়গা খুঁজে নেয়। বাচ্চা ফোটার জন্য সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়, সমুদ্রতট যার জন্য উপযুক্ত। আগামী ৪৫ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে বলে জানান অসীম বড়ুয়া।

Exit mobile version