parbattanews

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে যুক্ত হচ্ছে বিলাসবহুল জাহাজ এম ভি বে ওয়ান

আগে জাহাজটির নাম ‘সালভিয়া সারু’ থাকলেও মালিকানা বদলের পর এখন ‘এম ভি বে ওয়ান’। বর্তমানে জাহাজটি চট্টগ্রামে অবস্থান করছে। যার ধারণ ক্ষমতা ২০০০ জন।

কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটের বিলাসবহুল ক্রুজ শিপ ‘এম ভি বে ওয়ান’ ২০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হবে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকার নেভাল ওয়াটার বাস টার্মিনালে জাহাজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।

উদ্বোধনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহাবুব আলীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান জাপান থেকে জাহাজটি কিনেছে।

আগে জাহাজটির নাম ‘সালভিয়া সারু’ থাকলেও মালিকানা বদলের পর এখন ‘এম ভি বে ওয়ান’। বর্তমানে জাহাজটি চট্টগ্রামে অবস্থান করছে।

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (এডমিন) কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘২০ ডিসেম্বর রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে জাহাজের উদ্বোধন করা হবে। তবে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজটি আপাতত চলাচল করবে না। লাইন ক্লিয়ারেন্স পেলে চলাচল শুরু করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে এটিই প্রথম জাহাজ নয়। আমাদের প্রতিষ্ঠানের ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ নামে একটি জাহাজ চলতি বছরে এ রুটে চলাচল শুরু করেছে।’

কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ ভ্রমণে নতুনত্ব আনবে এ জাহাজ। বিলাসবহুল পর্যটক সেবার পাশাপাশি আমরা দেশীয় পর্যটনে নতুন অধ্যায় যোগ করতে পারব বলে আশা করি।’

জাপানের ‘মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ’ এর তৈরি বে ওয়ানে প্রেসিডেন্ট স্যুট, কেবিন, সাধারণ আসন— সব মিলিয়ে প্রায় দুই হাজারের মতো আসন থাকছে।

জাহাজটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২১ মিটার, প্রস্থ ১৫ দশমিক ৩ মিটার এবং গভীরতা ৫ দশমিক ৪ মিটার। এ জাহাজের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ২৪ নটিক্যাল মাইল। তবে সেন্টমার্টিন রুটে এটি ১৮ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইলে চলবে বলে জানা গেছে।

কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে আমাদের অন্য একটি জাহাজ থাকলেও সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যাত্রী পরিবহন করবে বে ওয়ান। এমভি বে ওয়ান কক্সবাজারের দরিয়ানগর থেকে ছাড়া হবে। তবে এখনো ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি।

Exit mobile version