parbattanews

কক্সবাজার সৈকতে ১০ একর সরকারি জমি দখলমুক্ত

পরিবেশ প্রতিবেশ সংরক্ষণে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে অভিযান চালিয়ে ১০ একর সরকারি জমি দখলমুক্ত করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ সময় অবৈধভাবে গড়ে উঠা উক্ত চিংড়িঘেরগুলো শ্রমিক ও এলাকার ভিসিজি ও যৌথ টহল দলের সদস্যরা মিলে উচ্ছেদ করেন। ৬টি ঘেরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে উন্মুক্ত করা হয়, যাতে পানি প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া ৩টি স্লুইজ গেইট, ১টি ঘর উচ্ছেদসহ ৫০০ গজ চরজাল জব্দ করেন।

বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলের অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলামের নেতৃত্বে সার্বিক সহযোগিতা করেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ ও রামু থানার পুলিশ প্রশাসন, সিপিজি, ইসিএ গার্ড, ভিসিজির সদস্য এবং রামু উপজেলা ইসিএ কমিটির সদস্যবৃন্দ।

সমুদ্রসৈকতের ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) বা প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় ১০ একর বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল মাছের ঘের। সৈকতের পেঁচারদ্বীপ এলাকায় ঘেরগুলো তৈরি করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, খায়রুল বশর, আবুল কাশেম, বাদশা, কালু ও ওয়ালিউল্লাজ নামের পাঁচ প্রভাবশালী ব্যক্তি মাছ চাষের নামে সৈকতের ভূমি দখল করেন।

পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, পরিবেশের ক্ষতি হয়- এমন কাজ করা নিষেধ। এর পরেও দখলদাররা মাছ চাষের নামে মূলত ১০ একর সৈকত বেদখল করেছিল। পরে ছয়টি ঘেরের বিভিন্ন বাঁধ কেটে উন্মুক্ত করা হয়েছে, যাতে পানি প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া তিনটি স্লুইসগেট ও একটি ঘর উচ্ছেদ করা হয়।

তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উদ্যোগে এবং ইউএসএআইডি’র ইকো লাইফ প্রকল্পের সহায়তায় রামু উপজেলাস্থ খুনিয়াপালং ইউনিয়নের হিমছড়ির পেঁচারদ্বীপ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা ৬টি চিংড়ি ঘেরের প্রায় ১০ একর জায়গা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং প্রায় ৫০০ গজ চড়জাল জব্দ করা হয়েছে। জায়গাটি কক্সবাজার-টেকনাফ পেনিনস্যুলা ইসিএ (প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা) যেখানে পরিবেশের ক্ষতিহয় এমন কাজ করা নিষেধ।

উচ্ছেদ অভিযানে নেকম-ইকো লাইফ প্রকল্পের নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. শফিকুর রহমান, হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর রকিবুল হাসান, হিমছড়ি বিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শোভন, ইউএসএআইডি‘র ইকোলাইফ প্রকল্পের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাপক আব্দুল কাইয়ুমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version