parbattanews

কচ্ছপিয়াতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে: টমটম চাপায় শিশুসহ নিহত-২

নিহত রায়হান

 

কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে ১০/১২ বছরের ছেলে বা আরো কম বয়সী শিশুরা (টমটম) ইজিবাইক, বেপরোওয়া চালিয়ে প্রতিনিয়ত কোন না কোন দুর্ঘটনার সৃষ্টি করছে। ৩ দিনের ব্যবধানে টমটমের ধাক্কায় শিশুসহ ২ জন নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে)  সন্ধ্যার আগে গর্জনিয়া বাজার-দৌছড়ি প্রধান সড়কের কচ্ছপিয়া ঘাট এলাকায় টমটম (ইজিবাইক) ধাক্কায় রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া দক্ষিণ পাড়ার বদিউল আলমের শিশু ছেলে রায়হান (৮) নিহত হয়েছে।

কচ্ছপিয়ার এনজিও কর্মী জাবেদ জানান, কচ্ছপিয়ার দৌছড়ি গলাছিরা এলাকার মো. আবু হান্নানের ছেলে বালুসস্যা (৩০) তার মালভর্তি (তামাক) টমটম গাড়িটি বেপরোওয়া ভাবে চালিয়ে স্কুল পড়ুয়া রায়হানকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত  চিকিৎসক মৃত্য ঘোষণা করেন।

এর আগে একই ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া-দৌছড়ি প্রধান সড়কে কালাসোনার দোকান নামক স্থানে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে দৌছড়ি উত্তরকুল এলাকার মৃত সোজ্জত আলীর পুত্র নুরুল আলম (৪০) নিহত হয়েছে। ২১ মে (মঙ্গলবার) রাত ৮ টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে কচ্ছপিয়া ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নাল আবেদীন জানান, একই ইউনিয়ন নতুন তিতার পাড়ার ছুরুত আলমের কিশোর পুত্র সাইফুল (১২) ওই ইজিবাইক (অটোরিক্সা) গাড়িটি বেপরোয়াভাবে দৌছড়ি থেকে গর্জনিয়া বাজার আসার পথে দৌছড়ি কালাসোনার দোকান নামক স্থানে পৌঁছলে গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। গাড়িতে থাকা যাত্রী নরুল আলম মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করলে, পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে মারা যায়।

এই ব্যাপারে গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়িঁর পরিদর্শক মো. আবছার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শিশু রায়হানের ব্যাপারে শুনে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থন পরিদর্শন করেছি। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি আবছার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ২৪ মে থেকে টমটমের ব্যাপারে বসে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে টমটম চাপায় শিশু রায়হান নিহতের ঘটনা বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্য ভাইরাল হয়ে যায়। বিভিন্ন সচেতন মহল থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। কেউ কেউ পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললে, জবাবে টমটম চালকরা বলেন, তারা গর্জনিয়া পুলিশকে মাসে ১শ টাকা করে মাসোহারা দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। সূত্র বলছে, ৫/৬ মাস আগের দৌছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক  শিক্ষিকা একই সড়কে ডাম্পার গাড়ির ধাক্কায় আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়।

Exit mobile version