parbattanews

কচ্ছপিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী আহত

চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা

কক্সবাজারের রামুতে চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা করে গুরুতর আহত করেছে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি পূর্বাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী কুখ্যাত ডাকাত কালা ফারুক।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাইস্কুল পাড়াস্থ মতিউর রহমানের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যবসায়ীর নাম ছৈয়দুল ইসলাম (প্রকাশ পুতিয়া)। সে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের জাংছড়ি ৪ ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে।

ছৈয়দুলের স্ত্রী রাবেয়া জানান, ডাকাত ফারুকের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় মঙ্গলবার রাতে ধারালো লম্বা দা দিয়ে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দ্যেশ্য মাথা লক্ষ করে কোপ দিলে সে হাত দিয়ে ঠেকায় এ সময় তার বাম হাতের কব্জি কেটে যায়। লোকজন তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত কক্সবাজার মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।

স্থানীয়রা জানান, আলোচিত এ ডাকাত ফারুকের নেতৃত্বে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুর বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত ডাকাতি, অপহরণ বাণিজ্য চলছিল সে সময় এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন। তখন প্রশাসন, এলাকার মানুষ মিলে তাকে যখন খোঁজ ছিল তখন তাকে না পেয়ে তার সহযোগী ডাকাত জহিরুল হক, মোঃ ইসলাম (প্রকাশ নেতা) জনতার গণধোলাইতে মারা যায়। তখন থেকে ফারুক পলাতক ছিল। গত সংসদ নির্বাচনের পর হতে সে এলাকায় এসে আবারো বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকাবাসীর দাবী ডাকাত কালা ফারুককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়াসহ রামু-নাইক্ষ্যংছড়ির অপরাধ অনেকটা কমে যাবে।

ডাকাত ফারুক কচ্ছপিয়ার খালকুল পাড়া ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত কালুর ছেলে। স্থানীয় মেম্বার জামাল জানান, এ ডাকাতের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সে জামিনে এসে এ সব করে। এ বিষয়ে ফারুকের স্ত্রী বুলবুল আক্তার বুলির ভিন্ন কথা। তিনি সাংবাদিকদের জানান দিনের বেলায় বাচ্চাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এর সূত্র ধরে রাতে তার স্বামী এ ঘটনা ঘটায়। তবে তার স্বামী এখন ভাল হয়ে গেছে। কোনো অপরাধের সাথে জড়িত নয়।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসীদের ছাড় নয়। যত বড় সন্ত্রাসী হোক না কেন পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাবে না। তবে তিনি বিষয়টি শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

Exit mobile version