নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউপি নির্বাচনে বিএনপি‘র মনোনীত ধানের শীষ প্রতিকের কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মৌলানা মোক্তার আহামদ চিকিৎসা শেষে গর্জনিয়া বাজার এলাকায় পৌছলে কয়েক শতাধিক ধানের শীষের কর্মী জড়ো হয়। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
বিএনপি প্রার্থী আবু মো. ইসমাইল (নোমান) এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার বিকালে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সভায় ইট পাটকেল ছুড়ে সরকার দলীয় প্রাথীর কর্মীরা। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে গর্জনিয়া বাজারে প্রতিবাদ সভার ডাক দেয় জনসাধারণ। কিন্তু প্রতিবাদ সভা ভ-ুল করার উদ্দেশ্যে একই স্থানে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীও প্রতিবাদ সভার ঘোষণা দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুরোধে তা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু সরকার দলীয় প্রার্থী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একজন অসুস্থ্য রোগীকে দেখতে আসা জনতাকে অন্যায় ভাবে পুলিশ দিয়ে ধাওয়া করে।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী নুরুল আমিন কোম্পানী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার দোছড়িতে নির্বাচনী সভায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা নৌকা প্রতিকের কর্মীর উপর হামলা চালায়। এর প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ও সর্বস্থরের জনতা শুক্রবার গর্জনিয়া বাজারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। কিন্তু প্রশাসনিক বাধা নিষেধকে সম্মান জানিয়ে তা বাতিল করা হয়। তারপরও বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধি তোয়াক্কা না করে বাজার এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে অবৈধ জনসমাগম করলে পুলিশ বাধা দেয়। এর সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, একই স্থানে দুটি প্রতিবাদ সভায় জড়ো না হওয়ার জন্য উর্দ্ধতন প্রশাসনের নিষেধ ছিল। তারপর কিছু লোক বাজার এলাকায় জড়ো হলে সাবেক চেয়ারম্যান মৌলানা মোক্তার আহামদের সহায়তায় তাদের শান্তিপূর্ণ ভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে