কচ্ছপিয়ায় ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়া এক মুসল্লীকে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টার পর পুরুষাঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে জঙ্গলে ফেলে দ্রুত সটকে পড়ে দূর্বৃত্তরা। রক্তক্ষরণ হওয়া মুমূর্ষ এ মূসল্লিকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় স্থানীয় এক মহিলা দেখে চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে আসে। পরে তাকে উদ্ধার করে গ্রামবাসী। মুমূর্ষ এ মুসল্লির নাম মনির আহমদ (৪৮)। তার পিতার নাম গোলাম কাদের। সে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের বাসিন্দা।
মনির আহমদের ১০ শ্রেণির ছাত্রী নাসরিন জাহান এ্যামি এ প্রতিবেদককে জানান, সে প্রতিদিনের ন্যায় ভোর সকালে পরীক্ষা উপলক্ষে পড়তে বসে পড়ার টেবিলে। তার মা নূরতাজ বেগম স্থানীয় তুলাতলী জামে মসজিদে নামাজ পড়তে তার বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে দেয়।
সূত্র আরো জানায়, মনির আহমদ অজু-কালাম করে মসজিদে যাওয়ার পথে গোদা জাফরের টেক নামক এলাকা থেকে মুখে প্ল্যাষ্টার চেপে কন্ঠরোধ করে অপরহরণ করে স্বশস্ত্র একদল অপহরণকারী। দূর্বত্তরা ঘটনাস্থলের উত্তর দিকের জঙ্গলাকীর্ণ প্রায় সোয়া কিলোমিটার দূরে নিয়ে নজিরের ঘোনায় হত্যাচেষ্টা করে মনিরকে। এরই মধ্যে দফায় দফায় শলাপরামর্শ করে কীভাবে তাকে খতম করে দেবে এ ফন্দি আঁটে সকলে।
দলের কয়েকজন তাকে প্রথমে হত্যার ঘোষণা দিলেও পরে কৌশল প্রয়োগ করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্তে পৌঁছে তারা। আর এ সিদ্ধান্তের আলোকে গোঁড়া থেকে তার পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তারা। আর রক্তক্ষরণের মাধ্যমে মারার জন্যে তাকে ফেলে দেয় ঝোপঁঝাড়ে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া মনির জঙ্গলের ভেতর কাউকেও কাছে পাচ্ছিলো না আওয়াজও করেও। এভাবে চলে যায় প্রায় ৫ ঘন্টা। এরই মধ্যে কিষানী লালু বিবি নিজ প্রয়োজনে অন্যত্র যাওয়ার পথে মনিরের গোঙানি শুনতে পায় সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ।
এভাবে মনিরকে দেখে লালু বিবি জোরে চিৎকার দেয়। লোকজন এগিয়ে এসে তাকে প্রথমে পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের পরে কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মনির আহমদের স্বজন নাপিতের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরওয়ার কামাল জানায়, তারা এখনও মামলা করেনি। তারা রোগীকে নিয়ে খুবই ঝামেলায় আছেন। রোগী মনিরকে বাাঁচাতে হবে আগে। পরে মামলা বা বিচার।