parbattanews

কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের

পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের মানববন্ধন

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে ৩৫ বাঙ্গালি কাঠুরিয়াকে হত্যার ২৩ বছরে ‘গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দানের দাবিতে মানববন্ধন ও শোক সভা করেছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ শাহাদাৎ ফরাজি সাকিবের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিঃ আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম-অধিকার আন্দোলনের মহাসচিব-মো: মনিরুজ্জামান মনির, ন্যাপ ভাষানি সভাপতি মোস্তাক আহমেদ ভাষানী, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য শেখ আহাম্মদ (রাজু), পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ রানা প্রমূখ।

সভার প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৯৬ সালের এই দিনে রাঙামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাকুয়াখালী নামক গহীন অরণ্যে তৎকালীন তথাকথিত শান্তিবাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে প্রাণ হারায় ৩৫ নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়া। সেই থেকে পার্বত্য এলাকায় বাঙালিরা এ দিনটিকে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। প্রায় দুইযুগ হয়ে গেলেও এখনও এই হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরুই হয়নি। ২১ বছর পরেও বিচার না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত নিহতদের পরিবার।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় তৎকালীন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি ১৯৯৬ সালের ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজ পর্যন্ত এই তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।

পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের এ সভা থেকে দেশ রক্ষার্থে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

Exit mobile version