কঠোর লকডাউনের মধ্যেও ঈদগাঁওয়ে গরু বাজার, কর্তৃপক্ষের রশি টানাটানি!

fec-image

দেশ জুড়ে করোনার চলমান ভয়াবহতার মধ্যে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওয়ে গরু বাজার বসায় চরম বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। এ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে গরু ব্যবসায়ী ও গরু মালিকরা করোনার ভয়াবহতা ও সরকার প্রদত্ত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে গরু, ছাগল, মহিষ জড়ো করতে শুরু করে ঈদগাঁও গরু বাজারে। বাজার ইজারাদার কৌশলে প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে নির্দিষ্ট গরু বাজারের পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী আনু মিয়া শিকদারের ইটভাটায় গরু বাজার বসায়।

স্থানীয় সচেতন জনগণ তা দেখে প্রশাসন ও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অবগত করে। কিন্তু রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। এ বিষয়টি কক্সবাজার সদর উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়কে অবগত করলে জানান, আজ ঈদগাঁওয়ে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট অবস্থান করছে জানিয়ে একজন ম্যাাজিস্ট্রেটের মোবাইল নং দেন এবং গরু বাজারের বিষয়টি স্থানীয় ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করতে বলেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিমের সাথে কথা হলে জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে থানা পুলিশ অংশ গ্রহণ করবেন। যেহেতু বাজার বসানোর বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বে।

অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেয়া ম্যাজিস্ট্রেটের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি ঈদগাঁও নয়, কক্সবাজার শহরের দায়িত্বে আজ। এছাড়া জেলা প্রশাসনের ৯৯৯নং-এর দায়িত্ব পালন করছেন। সচেতন জনগণ জানায়, যেখানে দেশে দিনদিন করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ হয়ে উঠার কারণে সরকার জনগণকে বাঁচাতে কঠোর লকডাউন দিয়েছে। যাতে যাবতীয় কিছু বন্ধ রয়েছে। সে অবস্থায় ইজারাদার কোন অদৃশ্য হাতের ইশারায় এ গরু বাজার বসিয়েছে তা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছে।অনেকে এর পেছনে মোটা অংকের লেনদেনের আশঙ্কাও করছেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবারও এ ধূর্ত ইজারাদার গরু বাজার বসিয়েছিল প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে দোহাই দিয়ে। তারা অবিলম্বে লকডাউনের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন