রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মাদক, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, খুন, গুমসহ বিভিন্ন অপরাধ থেমে নেই।
পাশাপাশি চলছে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানসহ নিয়মিত টহল। ইতিমধ্যে কাঁটাতারের ঘেরা দেওয়া হয়েছে। বসেছে ওয়াচ টাওয়ার। টহলের জন্য কাঁটাতারের ঘেরা ঘেঁষে রাস্তা করা হচ্ছে।
এররই মধ্যে গেল অক্টোবর একমাসে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৮ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৬ (এপিবিএন) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে চাকমারকুল, উনচিপ্রাং, শামলাপুর, লেদা, আলিখালি, শালবাগান, জাদিমোড়া ও নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৬০ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। মামলা হয়েছে ৩৪টি।
বুধবার (৩ নভেম্বর) ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, পহেলা অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে এ পর্যন্ত তথাকথিত আরসা ও আল-ইয়াকিন নামধারি ৮ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ, অপহরণ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও রয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম তারিক আরও বলেন, উক্ত অভিযানে ২ হাজার ২’শ ৪ পিস ইয়াবা, ৩২ লিটার দেশিয় চোলাই মদ, ৫ টি এলজি, ৪টি একনলা বন্দুক ও ১৪ টি রামদা কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
মাদক উদ্ধারের ঘটনায় ৫ মামলার বিপরীতে ১০ জন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। ১৪ জন অপহৃতের মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করে তদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ৫টি অপহরণ মামলায় ৭ জন অপহরণকারীকে আটক ও ১২টি অস্ত্র মামলায় ২২ জনকে আটক করা হয়। এছাড়াও ২টি ধর্ষণ মামালায় ২ জন ধর্ষককে ও আটক করা হয়।অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত ১৯টি মামলায় ১১ জনকে আটক করা হয়।
তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা চাই সাধারণ রোহিঙ্গারা সাধারন ভাবে জীবন যাপন করে ভাল থাকুক। তথাকথিত দুর্বৃত্ত গ্রুপের নাম করে কাউকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে দেওয়া হবে না। আমাদের দেশে অন্য দেশের দুর্বৃত্তদের কোন স্থান নেই।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ১ জুলাই থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। ১৬ এপিবিএন এর আওতাধীন রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো হল- চাকমারকুল, উনচিপ্রাং, শামলাপুর, লেদা, আলিখালি, শালবাগান, জাদিমোড়া ও নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প।