parbattanews

কনকনে শীতের রাতে কম্বল দিতে গ্রামে ছুটে গেলেন ইউএনও বিভীষণ কান্তি দাশ

কম্বল বিতরণ করছেন ইউএনও বিভীষণ কান্তি দাশ

পাহাড়ী জনপদেও জেঁকে বসেছে কনকনে শীত। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে দু:স্থ ও অসহায় মানুষগুলো যখন যুবুথুবু, কনকনে শীতের প্রভাবে দুর্গম পাহাড়ের জনজীবন যখন বিপর্জস্থ তখন মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক মো. নুর নবী (অন্তর মাহমুদ) এর দাবীতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ ।

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) সারাদিন দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকার পর সবাই যখন বিশ্রাম নিতে আপন নিবাসে অবস্থান করছিলেন, ঠিক সে সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ সহকর্মী ও সাংবাদিকদের নিয়ে ছুটে গেছেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার গাজীনগর-বটতলী এলাকার অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল পৌঁছে দিতে।

রাতের আধাঁরে হঠাৎ নিজের গ্রামে ইউএনও’র হাত থেকে কম্বল পেয়ে খুশি পাহাড়ী জনপদ মাটিরাঙ্গা পৌরসভার পিছিয়ে পড়া ১নং ওয়ার্ডের মানুষ।

কম্বল হাতে পেয়ে গাজীনগরের বৃদ্ধা হাজেরা বেগম সৃষ্টিকর্তার কাছে ইউএনও এর দীর্ঘায়ু কামনা করে এ প্রতিবেদনকে বলেন, “ঠান্ডায় যহন কষ্ট পাইতাছিলাম স্যার হঠাৎ আইয়্যা আমাগো কম্বল দিয়া কষ্ট থাইক্যা বাচাইলো। এইডা আমাগো লাহান গরীব মাইসের কাছে সারাজীবন মনে থাকবো। এই রহম কইর‌্যা আমাগো কবর কেউ কোনদিন লয়নাই”।

এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজকুমার শীল ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেন তার সাথে ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা শামীম রেজা জানান, কনকনে শীতে আলুটিলা, গাজিনগর-বটতলীর মতো মফস্বল এলাকায় এসে কোন সরকারি কর্মকর্তার কম্বল বিতরণ এটাই প্রথম। এর আগে কোন সরকারি কর্মকর্তা এভাবে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াননি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে আসা কম্বল নিজের হাতে শীতার্ত মানুষের গায়ে জড়িয়ে দিতে পারাটা সৌভাগ্যের মনে করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ । বললেন, অসহায় মানুষের জন্য নিজেকে সবসময়ই উৎস্বর্গ করতে চান তিনি।

Exit mobile version