parbattanews

কনকনে শীতে পাহাড়ে চলছে উষ্ণ পোশাক ক্রয়ের উৎসব

wind pic copy

সাইফুর রহমান :

শীত এলো। প্রকৃতির রূপ বদলের সাথে সাথে আমাদের জীবন-যাত্রায়ও লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-আশাক সবকিছুতে এসেছে পরিবর্তন। পিঠা-পুলি, খেজুরের রস, টাটকা শাক-সবজির সঙ্গে সঙ্গে সবার গায়ে উঠেছে গরম কাপড়। হালকা-পাতলা পোশাকের স্থান দখল করে নিয়েছে গরম ভারি কাপড়। হাপ স্লিভ হয়ে গেছে ফুল স্লিভ। আর ওড়নার বদলে শাল। সবাই যেন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে শীত নিবারণে। ঘরে পরার কিংবা বাইরে যাওয়ার সময় সবার এখন এক মাত্র সঙ্গী উষ্ণ পোশাক। তবে শুধু শীত নিবারণের জন্যই নয়, নিজেকে স্মার্ট ও ফ্যাশনেবল দেখার চেষ্টাও থাকে উষ্ণ পোশাক নির্বাচনে।

এই সময়ের ছেলে মেয়েরা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি ফ্যাশন সচেতন। শীত এলে এই সচেতনতা বেড়ে যায় আরো এক ধাপ। ফলে ফ্যাশনের ছোঁয়া শীত বস্ত্রের উপরও ফেলে দারুণ প্রভাব। শুধু শীত নিবারণেই নয়, একই সথে নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তোলার জন্য সবাই খোঁজে আধুনিক ও রুচি সম্মত গরম পোশাক। শীতে মানানসই কি ধরনের গরম কাপড় পড়তে হবে সেই চিন্তা কম-বেশি সবার মধ্যেই কাজ করে। শুধু কাপড় নয় এ ক্ষেত্রে রং ও বেশী প্রাধান্য পায়। যা ছেলে মেয়েদের পোশাকে আনে বৈচিত্র্যতা।

শীত এলে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ও মার্কেটগুলোতে শীত বস্ত্র বিক্রীর হিড়িক পড়ে যায়। শীতের মাত্রা যতই বেশি হয়, ততই বাড়তে থাকে গরম কাপড়ের চাহিদা। সবাই চায় নিজেকে গরম কাপড়ে জড়িয়ে রাখতে। শীতে মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রেও দেখা যায় ব্যাপক পরিবর্তন, সারা বছর হালকা-পাতলা-ঢিলেঢালা পোশাক পরলেও শীতে একটু ফিটিং পোশাকের দিকে ঝুঁকে পড়েন সবাই। তবে ছেলেরা পোশাকের দিকে হতে চায় একটু স্টাইলিস্ট ও ফ্যাশনেবল। গতানুগতিক শার্ট প্যান্টের বাইরে নিজেকে অন্য কিছু দিয়ে সাজাতে সুন্দর সুন্দর ব্লেজার, সোয়েটার, কোট, পুলওভার যে কোনো কিছুতেই সুন্দর ও সাবলীল ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে।

শীতের শুরুতেই খাগড়াছড়ির বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণে শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, ধনীরা বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ থেকে শীতবস্ত্র ক্রয় করলেও গরীব-হতদরিদ্রদের শীত নিবারণের একমাত্র আশ্রয় হচ্ছে ফুটপাতের (টালের) দোকানগুলো। তাই ফুটপাতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন রকমারী শীত বস্ত্র।

Exit mobile version