parbattanews

কবে শেষ হবে লামায় পানি শোধনাগারের নির্মাণ কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

বান্দরবানের লামা পৌরসভার বাসিন্দারা এখনো নদী, রিং বা টিউবেয়েল উপর নির্ভরশীল হয়ে আছে। একারণে এলাকায় বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব রয়ে গেছে। ২০১৩-১৪ সালে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মাতামুহুরী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে শোধনের মাধ্যমে সরবরাহের কাজ শুরু করলেও অর্থের অভাবে শেষ করতে পারেনি। প্রকল্পটি শেষ করতে না পারায় জনদূর্ভোগ এখনো রয়ে গেছে।

সূত্র জানায়, গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে লামা পৌরসভায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি শুরু করে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। জাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় রিভাইজ করে ৭ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়। ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না মেলায় প্রকল্পের কাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, প্রকল্পটিতে ঘণ্টায় ১০০ ঘনমিটার ক্ষমতা সম্পন্ন পানি শোধনাগার নির্মাণ ও ৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে পাইপ লাইন স্থাপন কাজের কার্যাদেশ পাই মেসার্স রতন সেন তংঞ্চগ্যা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

ঠিকাদার সূত্র জানায়, পাইপ লাইন স্থাপনে ইতিমধ্য ৮৮ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজের কাজ শেষ হয়েছে। বরাদ্দ না থাকায় ৪২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকার কার্যাদেশ দেওয়া একটি প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। এছাড়া পানি শোধনাগার প্রকল্পের মেকানিক্যাল, মিশিনারিজ ও ইলেকট্রিকেল কোন কাজ করা হয়নি।

লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম জানান, অর্থের অভাবে পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, বাস্তবতার আলোকে প্রকল্পটিতে অতিরিক্ত ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয় বেড়ে গেছে। অর্থের অভাবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছেনা।

নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নির্মাণ খরচ বেড়ে গেছে। রিভাইজ করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

Exit mobile version