কমিউনিটি ক্লিনিক কর্ণার বন্ধ, দুর্ভোগে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী

fec-image

চট্রগ্রামের ১১ জেলার ৩৩ উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ক্লিনিক কর্নার অদৃশ্য কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চিকিৎসা সেবাপ্রার্থী গ্রামীণ জনগোষ্ঠী। গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় রয়েছে চার হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রতিটি ইউনিয়ন গড়ে ২/৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সেবা পাচ্ছে এসব ক্লিনিক থেকে। কমিউনিটি ক্লিনিক হতে প্রাথমিক সেবা প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা দেওয়া হয়। আর এনসিডি রোগী সহ জটিল রোগীদের উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে রেফার করা হয়।

২০১৭ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা ও কমিউনিটি ক্লিনিক এর কার্যক্রম গতিশীল সহ রেফার করা রোগীদের উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে সেবা গ্রহণে সহযোগিতা প্রদানের জন্য স্থাপন করা হয় প্রতি জেলায় ১টি করে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ক্লিনিক কর্নার। স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় সেখানে একজন সিএইচসিপি পদায়ন করার হয়। কর্নার এর চিঠি প্রেরণ করে সিবিএইচসি। এরপর থেকে কর্নার এর কাজ ভালো চলছিল।

২০১৮ সালে সিবিএইচসি প্রতি জেলায় পুনঃ ২টি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ক্লিনিক কর্নার চালু করনের উদ্যােগ নেয় এবং কমিউনিটি ক্লিনিক কর্নার এর কাজ শুরু হয়। কিন্তু এই মহতী উদ্যােগ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে।

অদৃশ্য কারণে বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিক কর্নার। কর্নার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক হতে রেফার করা রোগী উপজেলায় গিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা পাচ্ছে না।

রামুর একজন সিএইচসিপি জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক ও রেফারেল সিস্টেম উৎপ্রোতভাবে জড়িত। রোগী বাড়ছে ক্লিনিকে। যোগ হয়েছে বহুমুখী স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবক (এমএইচভি)। ক্লিনিকে রোগী পাঠাচ্ছে এমএইচভি,সিএইচসিপি কর্তৃক জটিল রোগীদের পাঠানো হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সেখানে কমিউনিটি ক্লিনিক কর্নার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোগী রিসিভ করার কেউ নেই।

আবার নতুন করে লাইনে দাড়িয়ে টিকেট নিয়ে অপেক্ষার পালা শুরু হয়। সিএইচসিপি’র রেফারেল স্লিপ টিস্যু হিসাবেও ব্যবহার হয় না, রোগী যেতে চায় না উপজেলায়, তারা জানে সেখানে সহযোগিতা করার কেউ নেই।

দেশে ৬৪ জেলায় ১৯২টি উপজেলায় সিসি কর্ণার চালু থাকার কথা, আশা করি কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিলে জানতে পারবে কতটা চালু আছে কাজে-কর্মে। আর কতটা সাইনবোর্ড সর্বস্ব! এ বিষয়ে ঢাকা কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট বোর্ড সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলীর সাথে মোবাইলে কথা হলে বলেন, এ খবর আমাদের কাছে ছিল না। আজকেই নির্দেশ দিচ্ছি যাতে খুব দ্রুত সময়ে কমিউনিটি ক্লিনিক কর্নার চালু করা হয়। করোনাকালীন সময়ে কেন বন্ধ হয়ে গেল, এটা খুবই দুঃখজনক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন