parbattanews

কমিউনিটি পুলিশিং পুলিশ ও জনতার মধ্যে সেতু বন্ধন রচনা করেছে

পুলিশের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বিকল্প নেই মন্তব্য করে বক্তারা বলেছেন, কমিউনিটি পুলিশিং পুলিশ ও জনতার মধ্যে সেতু বন্ধন রচনা করেছে। তারা বলেন, আমাদেরকে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হতে হলে সবার আগে আত্মমর্যাদাশীল সমাজ গঠন করতে হবে। সেই সমাজটা হতে হবে অপরাধমুক্ত এবং অপরাধের ভীতিমুক্ত। আর এজন্যই কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে।

‘মুজিববর্ষে পুলিশ নীতি, জনসেবা আর সম্প্রীতি’ স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালের দিকে মাটিরাঙ্গা থানা কমপাউন্ডে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) মো. খোরশেদ আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) মো. হেদায়েত উল্যাহ, খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রইচ উদ্দিন, মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা প্রমুখ।

জনগণের দ্বার প্রান্তে সেবা পৌঁছে দিতেই কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশিং সৃষ্টি এমন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, এতে করে পুলিশ ও জনগণের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হয়েছে। সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ, মাদক নির্মূল, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং অপরাধ, সাম্প্রদায়িক সহিংষতা নির্মূল করতে পুলিশকে আরো বেশি সহযোগিতা করতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের আহ্বান জানান।

যেকোন সংঙ্কটময় সময়ে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের প্রতিটি সদস্য খুবই আন্তরিকতার সাথে কাজ করে মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী বলেন, করোনা মহমারীর সময়েও জনগণের পাশে ছিল পুলিশ। মাটিরাঙ্গা থানার প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রতিটি দরজা সাত দিন ২৪ ঘন্টা জনগণের সেবার জন্য খোলা থাকে। সেবার ব্রত নিয়েই কাজ করছে প্রতিটি পুলিশ সদস্য।

বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে পুলিশের পাশাপাশি আনসার-ভিডিপি সদস্য, গ্রাম পুলিশের সদস্য, কমিউনিটি পুলিশের সদস্য, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম, সমাজকর্মী সহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

পরে আমন্ত্রিত অতিথিদেও সাথে নিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষ্যে কেক কাটেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) মো. খোরশেদ আলম।

Exit mobile version