parbattanews

করোনাকালে শিশুদের খাবার

এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে সুরক্ষিত মনে করা হচ্ছে শিশুদের। তবে কোনোভাবেই ঝুঁকিমুক্ত নয়। সারা বিশ্বেই শিশুদের করোনা আক্রান্তের হার অনেকটা কম।

অবশ্য এখন পর্যন্ত ১২ বছরের নিচে কোনো শিশুর টিকাকরণ করা হয়নি। অনুমোদন হয়নি শিশুদের জন্য করোনা টিকার। ফলে তাদের নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই অভিভাবকদের।

শিশুদের আরও সুরক্ষিত রাখতে তাদের খাদ্যাভাসের ওপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। যেসব খাবারে বাড়তে পারে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চলুন জেনে নেয়া যাক।

পানি

শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ানো দরকার এই সময়ে। খেলাধুলা বা নানা চঞ্চলতায় সময় পার করে তারা। এ জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করে না। কোভিড থেকে বাঁচতে অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করা প্রয়োজন।

সবুজ শাক

শিশুরা এমনিতেই খুব কম খায়। এখন তো স্মার্ট ডিভাইসের নেশায় বুঁদ হয়ে থেকে সে খাবারের পরিমাণ আরও কমেছে। তাই অবশ্যই এখন পাতে সবুজ শাক রাখার চেষ্টা করুন।

সবুজ শাক, লেটুস পাতায় রয়েছে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সির মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শিশুর শরীরকে মজবুত করে তোলে।

বাদাম

সবজি বা অন্য কিছু খেতে শিশুদের অনীহা থাকলেও বাদামে অনীহা আসার কারণ নেই। তাই প্রতিদিন আপনার সন্তানকে খেতে দিন কাঠবাদাম, পেস্তা, কাজু কিংবা আখরোট। অবশ্য চাইলে এর সঙ্গে কিশমিশও খাওয়াতে পারেন।

ব্রকোলি

ফাইবার আর একাধিক খনিজ পদার্থে ভরপুর ব্রকোলি। শরীরে যেকোনো সংক্রমণ আটকাতে এর জুড়ি মেলা ভার।

আমলকী

আমলকীর মতো স্বাস্থ্যকর ফল পাওয়া দুষ্কর। সাধারণত শীতের সময় শিশুদের সর্দি ও ঠান্ডা লাগে বেশি। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ঠান্ডায় পেটের পীড়াও দেখা দেয়। তাই এই সময়ে খাওয়ার পর একটু আমলকী খাওয়াতে পারলে সব গোলযোগ মিটবে।

চিবিয়ে খেতে না পারলে আমলকী রস করেও খাওয়া যায়। অনেকেই অবশ্য ছোট ছোট করে কেটে তা রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করেও খান। এতেও পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।

সূত্র: NB nws

Exit mobile version