করোনাভাইরাসে এখনও অচেতন পানছড়ি

fec-image

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সকল প্রশাসন সচেতন থাকলেও রবিবার(২৯ মার্চ) হাঁটের দিন সাত সকাল থেকেই লক্ষ্য করা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। সামাজিক নিরাপত্তা দুরত্ব বজায় না রাখার ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রামনের ঝুকি থেকেই যাচ্ছে।

মাস্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত থাকলেও জনসমাগম ছিল বেশী। পুলিশের তিন-চারটি নিরাপত্তা বেস্টনি, সেনাবাহিনীর মাইকিং তৎপরতা, উপজেলা প্রশাসনের কড়া নজরধারী তাদের রুখতে পারেনি। অথচ বিগত কয়েকটি দিন জেলার মাঝে সবচেয়ে ভালো অবস্থান ছিল পানছড়ির।

সরেজমিনে ঘুরে পানছড়ি বাজারের প্রধান সড়কের গলিগুলো জনশূণ্য দেখা গেলেও সবজি বাজার এলাকায় ছিল ক্রেতাদের ব্যপক উপস্থিতি।

রোহিন্দ্র কারবারী পাড়া থেকে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, আর্মি-পুলিশ আবার কেমনে দেখিবো, আমি তো চেংগী নদী পার হইয়েরে বাজারে ডুকিছে। তারা আমরারে ন দেখে। কেউ কেউ জানালেন এলাকায় রাস্তাঘাট নেই তাই মাইকের ধ্বনি তারা শুনেনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিটা ইউনিয়নে জনসচেতনতামূলক সভা, মাইকিং ও লিপলেট বিতরণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ৬টা থেকে আইনশৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে কাজ করেছে এর পরও যদি জনগন সচেতন না হয় তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা ছাড়া কোন উপায় নাই। এখন থেকে প্রশাসন কঠোর ভুমিকা পালন করবে বলে তিনি জানান।

ওসি মো: দুলাল হোসেন জানান, যেসব এলাকায় গাড়ি যায় না মাইকিং পৌঁছে নাই মূলত সেসব এলাকায় কিছু লোক বাজারে এসেছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের বুঝিয়ে সাড়ে দশটার মধ্যেই বাজার ফাঁকা করা হয়েছে। তবে এখন থেকে তারাও সচেতন হয়ে ঘরে ফিরেছে। সামনের হাঁটগুলোতে জনসমাগম না হওয়ায় ব্যাপারে তিনি আশাবাদি বলে জানালেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, পানছড়ি, মাস্ক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন