parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসছে

নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনার প্রার্দূভাব কমে আসছে দ্রুতগতিতে। গত ৩ মাসের করোনা পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য রেরিয়ে আসে জানিয়েছেন হাসপাতালের প্রধান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডা: এ জেড এম ছলিম।

রোববার (১১ অক্টোবর)  দুপুরে করোনা বিষয়ে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে এ তথ্য জানান তিনি। বিশ্বস্থ একাধিক সূত্র জানায়, করোনা শুরুর দিকে প্রথমে আতংক ছড়িয়ে পড়ে সীমান্ত জুড়ে। এ কারণে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লোকজনের মাঝে মৃত্যুর ভীতি বাড়তে থাকে। মাস খানের পরে কিছুটা কমে আসলেও জুলাইয়ে আবারো বেড়ে যা এ ভীতি। কিন্ত দিন যতই গড়িয়ে যাচ্ছে করোনা ভীতি ও করোনার নমূনা প্রদান কমে আসছে উপজেলার সর্বত্র।

সূত্র আরো জানায়, উপজেলার ৫ ইউনিয়নের অধিকাংশ জনপদই পাহাড়ে ঘেরা। আর সব ক’টি ইউনিয়নই মিয়ানমার সীমান্তবর্তী। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা এ উপজেলার দক্ষিণ সীমানায় বসবাস করে নানা পরিবেশ বিনষ্ট করছে। সব মিলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাটি নানা সমস্যায় পতিত। তার উপর করোনার ঝুঁকি। কিন্তু সীমান্ত প্রহরী ও উপজেলা পরিষদ-প্রশাসন-স্বাস্থ্য বিভাগ সজাগ থাকার কারণে এ ঝুঁকি বাড়ে নি বরং স্থিতি থাকে। আর সর্বশেষ গতি ধীর গতিতে কমে আসছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প র্কমর্কতা ডা: এ জেড এম ছলিম বলেন, করোনা ভাইরাস শুরু হলে তিসি সরকারের যাবতীয় নির্দেশনা মেনে চলে করোনা ভাইরাস জনিত সমস্যা মোকাবেলা করে আসছিলেন। এ কারণে পরিস্থিতি বর্তমানে নিম্নগতি। তার দেয়া তথ্য মতে গত ৩ মাস করোনা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করলে দেখা যায়-জুলাইয়ে এ উপজেলায় নমুনা সংগ্রহ করা করা হয় ৮৯ জন থেকে। শনাক্ত হয় এবং পজেটিভ আসে ১৯ জনের। আগষ্টে সংগ্রহ করা হয় ৫১ জনের আর পজেটিভ হয় মাত্র ২ জনের।

সেপ্টেম্বরে নমূনা প্রদান করেন-৮৩ জনের। পজেটিভ আসে ৯ জনের। অক্টোবরের এ ১১ দিনে কোন করোনায় পজেটিভ রোগী নেই।

তিনি আরো বলেন,করোনা থেকে বাঁচার জন্যে নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা ও জনস্বাস্থ্যের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার কারণে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হওয়ার পরও নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনার প্রার্দূভাব কমে আসছে দ্রুত গতিতে। হয়তো ক্রমান্বয়ে আরো কমবে। তবে শীত মৌসূম জোরে শূরু হলে নানা কারণে দ্বিতীয় দফা করোনা ঝুঁকি বাড়ার আশংকা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সর্বপ্রথম শনাক্ত হয় চীনের হুবে প্রদেশের উহান শহরে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯। আর বাংলাদেশে ধরা পড়ে ৮ র্মাচ ২০২০ তারিখে। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত প্রথম রোগী মারা যান ১৮ র্মাচ ঢাকার মিরপূরের টোলারবাগে। সর্বশেষ তথ্যমতে বাংলাদেশে ( ১১ অক্টোবর পর্যন্ত) মোট আক্রান্ত হন ৩ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৬ জন। আর মৃত্যু হয়- ৫ হাজার ৫ শত ২৪ জন।

Exit mobile version