parbattanews

কর্ণফুলী নদীর বুক চীরে বিশাল চর: নৌ চলাচল ব্যাহত

লুসাই পাহাড় হতে বয়ে আসা কর্ণফুলী নদী। আর এই কর্ণফুলী নদীর বুকে জেগে উঠেছে বিশাল লম্বা বালুচর। রাঙামাটি জেলা এবং চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়ে এর স্বচ্ছ জলরাশি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। নদীর দুই পাশে বসবাসকারী জনসাধারণকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে নৌকা, সাম্পান বা অন্য বাহনের মাধ্যমে পারাপার করতে হয়।

কিন্তু শীত মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নৌকা বা সাম্পান পারাপারে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান সাম্পান মাঝিরা। বিশেষ করে ভাটার সময় নদীর বুকে চর জেগে উঠে।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার ঘাটে দেখা যায় নদীর মাঝখানে বিশাল আকৃতির চর জেগেছে। এসময় চন্দ্রঘোনা- রাইখালী নৌ রুটে যাত্রী পারাপারে মাঝিদেরকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেখানে সোজা পথ পাড়ি দিয়ে যাত্রী চলাচল করতো, সেখান থেকে অন্য পথে গিয়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে যাত্রীদের পারাপার করতে হচ্ছে।

মাঝি আব্দুল গফুর, বাচা মিস্ত্রি জানান, শীত মৌসুমের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে কর্ণফুলী নদীর পানি শুকিয়ে যায়। নদীর নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। ভাটার সময় নদীর বুকে চর জেগে উঠে। যার ফলে অনেক সময় নদীতে সাম্পান আটকে যায়।

রাইখালী সাম্পান ঘাঁটের লাইনম্যান আসিফ জানান, নদীতে পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে, যেখানে পানির গভীরতা আছে সেই পথ পাড়ি দিয়ে সাম্পান চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে সময় বাড়ছে এবং জ্বালানি তেল প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে।

এই রুটে চলাচলকারী রাইখালী আ.লীগ সম্পাদক ইউসুফ তালুকদার এবং রাইখালী জুমিয়া পূর্ণবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কান্তি দাশ বলেন, বিশেষ করে শীত মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হয়। আমাদেরকে ঘুরে অন্য ঘাঁট দিয়ে পার হতে হয়।

রাঙামাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় ত্রিপুরা জানান, শুষ্ক মৌসুমে নদীর নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। আগামীতে কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং করার পরিকল্পনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের রয়েছে। ড্রেজিং করা হলে এ সমস্যা আর থাকবেনা।

Exit mobile version