parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে ২৭ শিক্ষকের কর্মবিরতি স্থগিত, মঙ্গলবার থেকে ক্লাসে ফিরছেন

৩৬ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেই রোববার (৮ মে) বিকেলে কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন ঈদ বোনাস বঞ্চিত নাইক্ষ্যংছড়ির ২৭ শিক্ষক।

নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এমএ কালাম ডিগ্রি কলেজের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক এমদাদুল্লাহ মো. ওসমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তারা ২৭ জন শিক্ষক ও তাদের পরিবার এবারের ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কেননা কলেজ অধ্যক্ষের অদূরদর্শিতা কারণে মূলত এ ঘটনা।

এক দিকে ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। অপর দিকে কলেজের দায়িত্বরত অভজার্বেশন কর্মকর্তা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ভুল তথ্য উপস্থাপন। ফলে শিক্ষকরা বেসরকারি ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত হন।

কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. শাহ আলম বলেন, তারা ষড়যন্ত্রের স্বীকার। আর এরই যাতাকলে পড়ে তাদের সন্তান-স্ত্রী তথা পরিবার এবারের ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত।

কেননা সরকার ঈদের আগে শিক্ষকদের বেতন ছেড়ে দিলেও ব্যাংকে টাকা না পৌঁছানোর কারণে কোন শিক্ষক বেতনের মূল অংশ ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারেনি। এদিকে গতবারের মতো বেতনের বেসরকারি অংশ নিতে গিয়ে অধ্যক্ষ আর দায়িত্বরত কর্মকর্তা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিলে স্বাক্ষর না করায় এ অংশও পান না তারা। খালি হাতে বাড়ি ফিরে পরিবারের কাছে হেনস্তার শিকার হন এই ২৭ শিক্ষক।

পরে বাধ্য হয়ে প্রস্তুতি সভা করে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন তারা। অর্থাৎ কলেজ খোলার দিন ৭ মে থেকে তারা ক্লাস বর্জন তথা কর্মবিরতি পালন করেন। পরে এ খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এক প্রতিনিধি পাঠালে শিক্ষকরা তাদের কর্মবিরতি সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।

প্রতিনিধি শিক্ষকদের বলেছেন, আগামী (১২ মে) বৃহস্পতিবার ইউএনও -শিক্ষক বৈঠকের পর পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা শনিবার ও রোববার দু’দিন কোন ক্লাস করতে পারেনি । তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

একাধিক অভিভাবক এ প্রতিবেদককে বলেন, মূলত অধ্যক্ষ সাহেব ঠিকভাবে কলেজ চালাতে অক্ষম।

কলেজ অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এসব কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার স্যার সালমা ফেরদৌস কলেজের ২৭ জন শিক্ষকদের নিয়ে বসে এটি সমাধান করবেন। আসলেও বিষয়টিতে কিছু একটা অসঙ্গতি ছিলো।

Exit mobile version