parbattanews

কর্মস্থলে রোহিঙ্গারা; কাজ না পেয়ে অভাবে দিন চলছে দেশীয় শ্রমিকদের

স্থানীয় শ্রমবাজারে চলছে যেন রোহিঙ্গাদের দৌরাত্ম। রোহিঙ্গারা একইসাথে দোকানদার, ব্যবসায়, ড্রাইভার, শ্রমিক, চাকুরীজীবি (এনজিওতে), রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, কৃষি কাজসহ ইত্যাদি আরো বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন পেশায় যুক্ত হচ্ছে। এই পেশার তাগিদে রোহিঙ্গারা ছুটে চলছে দেশের এক স্থান হতে অন্য স্থানে। তারা ব্যাধির মতো ছড়াচ্ছে অর্থের সন্ধানে। ফলে দেশী ও স্থানীয় শ্রমিক, চাকরী প্রত্যাশী, দোকানী, রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রিসহ মাটি কাটার লোকদেরও অর্থনৈতিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।

জানা গেছে, দিনদিন দেশীয় শ্রমিকদের অর্থনৈতিক অবস্থায় ভাটা পড়ছে। শ্রমিকরা কখনো বেকার, কাজ শূন্যতা, অবনতি ও অর্থহীনতায় ভুগছে। এমতাবস্থায় তাদের পরিবার চালানো দুরূহ হয়ে পড়ছে। শ্রমিকদের এরুপ করুণ পরিস্থিতি সমাজের সুশীলরা ন্যক্কারজনক বলে দাবি করেন।

দৈনিক রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, মাটি কাটার লোক, কৃষি কাজে নিয়োজিত বহু দরিদ্র লোকসহ খেটে খাওয়া শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ অভিযোগ, “রোহিঙ্গারা এদেশে আসার পর থেকেই তারা খুব একটা কাজ পাচ্ছেনা। ফলে খুব অল্প আয় ও বেকারত্ব সমস্যা হচ্ছে। রোহিঙ্গারা অল্প মজুরি নিয়েই কাজ করে যার কারণে মালিকগণ তাদের দ্বারাই সেই কাজ সম্পন্ন করছে। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি কাজে রোহিঙ্গাদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।”

এ বিষয়ে ‘পালংখালী ইউনিয়ন রাজমিস্ত্রি সংঘ’র সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন বলেন,” ইউনিয়নে শতাধিক রাজমিস্ত্রি ও তাদের সহযোগী রয়েছে যারা সংঘের সদস্য। তন্মধ্যে অর্ধশতাধিক মিস্ত্রি কাজ শূন্য হাতে বসে আছে। অথচ কাজের অভাব নয়, বরং রোহিঙ্গা মিস্ত্রিদের দিয়েই দালান, ঘর ইত্যাদি নির্মাণ কাজ করানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো স্থানীয় মিস্ত্রিরা করতে পারে। কিন্তু এনজিওরা কম অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে কাজে রোহিঙ্গাদের নিযুক্ত করে।”

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “রোহিঙ্গারা স্থানীয় শ্রমিকদের অর্থনৈতিক খাতে ভাগ বসিয়েছে। খেয়াল করলে দেখা যায় চারপাশের প্রায় প্রতিটি কর্মে রোহিঙ্গাদের কার্যকলাপ। যেগুলো অতীতে দেশীয় শ্রমিকরা আশা করতো না। স্থানীয় জমিদার ও এনজিওর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধ করে বলবো তারা যেন রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে স্থানীয় ও এদেশের সাধারণ শ্রমিকদের নিয়ে সকল কাজ সুসম্পন্ন করে।”

Exit mobile version