parbattanews

কাউখালিতে নানা আয়োজনে ৭ই মার্চ উদযাপন  

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারো রাঙ্গামাটির কাউখালিতে শিশু কিশোরদের নিয়ে ‘জয় বাংলা’ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “জীবন”।

সোমবার (৭ মার্চ) সকাল ১০টায় কাউখালির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাউখালির বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিযোগিতায় সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জীবন কাউখালি চ্যাপটার। এ বছর রাঙ্গামাটির কাউখালিতে তারুণ্যের প্রাণে জয় বাংলা শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরদের রঙে সজীব হয়ে উঠেছে জয় বাংলার সেই ঐতিহাসিক উচ্চারণ।

প্রতিযোগিতার ফলাফল ১৭ মার্চ সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও ২৬শে মার্চ উপলক্ষে সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জীবন এর প্রতিষ্ঠাতা সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদা জান্নাত, অর্থ সম্পাদক শুভ মন্ডল, প্রচার সম্পাদক ইমতিয়াজ ইমনসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আহুত এক ছাত্র সভায় তৎকালীন জিন্নাহ হলের ছাত্র আফতাব আহমেদ সর্বপ্রথম জয় বাংলা বলেন। এরপর ১৯৭০ সালের জানুয়ারি মাসে পল্টনে আওয়ামী লীগের এক জনসভার মঞ্চের ব্যানারে জয় বাংলা লেখা ছিলো। সে সময় মঞ্চে উঠে সিরাজুল আলম খান কয়েকবার জয় বাংলা বলেন। এভাবে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সময় ছাত্ররা এটি ব্যবহার করতে থাকে। ১৯৭০ সালের ৭ জুন এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম এটি ব্যবহার করেন। তিনি জয় বাংলা বলে বক্তব্য শেষ করেন।

গত ২ মার্চ (বুধবার) মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা।

Exit mobile version