রাঙ্গামাটি রিজিয়নের ঘাগড়া আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইউপিডিএফ’র সক্রিয় সদ্য চাঁদা কালেক্টর রাজ্যমনি তঞ্চঙ্গ্যা (৫৪) কে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ২টা ৩০ মিনিটে কাউখালীর সীমান্তবর্তী রাঙ্গুনীয়া থানার ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর ঘাগড়া নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে আটক করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী শর্ট গান, একটি রামদা, একটি মোবাইল ফোন, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, টাকা রাখার ব্যাগ, নগদ ৫৮৫০ টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ১৬ জন বিশেষ ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
আটক রাজ্যমনি তঞ্চঙ্গ্যা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ’র চাঁদা আদায়কারী ও শসস্ত্র ক্যাডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসাছে। চাঁদার জন্য সে বিশিষ্ট ব্যক্তির তালিকা করে সে অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করে তা দলের উর্দ্ধতন নেতাদের কাছে পাঠিয়ে দিতো।
জিজ্ঞাসাবাদের সে আরও জানায়, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির পর শান্তিবাহিনী আত্মসমর্পন করলেও সে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে শসস্ত্র অবস্থায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ১৯৯৮ ইউপিডিএফ’এ যোগদান করে চাঁদা আদায়, অপহরণ, মুক্তিপন আদায়ের মাধ্যমে ফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ও পাশ্ববর্তী রাঙ্গুনীয়া উপজেলার ইসলামপুর এলাকার শসস্ত্র চাঁদা কালেক্টর হিসেবে দায়িত্বরত আছে।
এছাড়াও সে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে যা তাকে চাঁদা সংগ্রহ ও ইউপিডিএফকে সকল অভিযান পরিচালনা কার্যক্রমে সহায়তা করতো। তার ছোট চরসণসিং তঞ্চঙ্গ্যা ইউপিডিএফ’র আঞ্চলিক শাখার পরিচালক ছিলো এবং ক্যাপ্টেন গাজী হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি।
পরে তাকে রাঙ্গুনীয়া থানা পুলিশে ন্যাস্ত করে সেনাবাহিনী। রাঙ্গুনীয়া থানার ওসি মো. মাহবুব মিল্কি জানান, আটককৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র চাঁদাবাজীসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।