কাউখালী প্রতিনিধি :
কাউখালীর হারাঙ্গী রিফিউজি পাড়া থেকে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র দুই কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ ও ৩ জুন পর্যাক্রমে সুগত চাকমা (৪৫), নলিন্দু কুমার চাকমা (৬৫) অপহরণের অভিযোগ করেছে জেএসএস কাউখালী উপজেলার শাখার সভাপতি সুবাষ চাকমা। তারা দু’জনই পিতা-পুত্র।
এ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতি ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে। তবে ইউপিডিএফ অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে কাউখালী থানার ওসি জানিয়েছেন, এটি অপহরণ নয় অভিযুক্ত দুজন ইউপিডিএফ কর্মী ছিল।
কাউখালীর ঘাগড়া থেকে জেএসএস সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শান্তিমনি চাকমা অভিযোগ করেন, উপজেলার হারাঙ্গীপাড়া গ্রামের সুগত চাকমা (৪৫) আমার প্রতীক ঘোড়া মার্কার সমর্থনে কাজ করে আসছিল। ২ জুন দুপুর ২টায় ইউপিডিএফ’র শসস্ত্র সদস্যরা সুগত চাকমাকে তার বাড়ী থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। একই অপরাধে ৩ জুন সকাল ১০টায় তার বৃদ্ধ বাবা নলিন্দু কুমার চাকমাকে একই কায়দায় অপহরণ করে নিয়ে যায়।
জেএসএস কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি সুবাষ চাকমা জানান, নির্বাচনের পূর্ব মূহুর্তে ইউপিডিএফ সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভয়ভীতি সৃষ্টি করতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
অপরদিকে ইউপিডিএফ কাউখালী ইউনিটের সমন্বয়কারী রাহেল চাকমা দাবী করেন, তারা দুজন ইউপিডিএফের কর্মী ছিল। তাদেরকে অপহরণ করা হয়নি। নির্বাচনে সংগঠনের পক্ষে কাজ করতে তারা দুজন স্বেচ্ছায় আমাদের সাথে যোগ দিয়েছে। জেএসএস নির্বাচনের ফলাফল তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে এধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
কাউখালী থানার ওসি আব্দুল করিম ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, এটি অপহরনের ঘটনা না। উল্লেখিত দুজন পূর্ব থেকেই ইউপিডিএফের কর্মী ছিল। বর্তমানে তারা কোন পক্ষে কাজ করছে আমার জানা নেই।
