parbattanews

কাউখালীতে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধ্বসে নারী-শিশুসহ নিহত-১৭

কাউখালী প্রতিনিধি:

রাঙামাটি কাউখালী উপজেলায় ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধ্বসে নারী-শিশুসহ ১৫ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০জন। পানিতে তলিয়ে গেছে ৩শতাধিক ঘর। মাটিচাপা পড়েছে ২ শতাধিক ঘর। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দূর্যোগ ও ত্রাণ শাখা।

উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া তথ্য মতে  নিহতরা হলেন, ঘাগড়া ইউনিয়নের  জুনুমাছড়া এলাকার বাসিন্দা অমর শান্তি চাকমার মেয়ে বৈশাখী চাকমা (৭), ঘাগড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা ছৈয়দ আলীর স্ত্রী নাছিমা বেগম (৬০), নোয়াপাড়া এলাকার মৃত মঙ্গল চাকমার স্ত্রী শোভারানী চাকমা (৫৫), কাশখালী এলাকার একই পরিবারের আব্দুল রশিদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬০), ছেলে মো. ইসহাক (৩৫) ও মো. মনির (২৫), ঘিলাছড়ি এলাকার মাওলানা ইসহাক এর স্ত্রী হাফিজা খাতুন (৭০), একই পরিবারের দুদু মিয়ার ছেলে দবির উদ্দিন (৮০) ও দবির উদ্দিন এর স্ত্রী খোদেজা বেগম (৭০)। বাকছড়ি এলাকার একই পরিবারের ফুলমোহন চাকমার স্ত্রী মনি মালা চাকমা (৫৫) ও মেয়ে তিশা মনি চাকমা (১১)। বেতবুনিয়া ইউনিয়নের একই পরিবারের অংচাপ্রু মারমার ছেলে অংচিং মারমা (৫২), অংখ্যাইচিং মারমার স্ত্রী আশেমা মারমা (৩৪), মেয়ে তেমা মারমা (১২) ও ছেলে ক্যাথোয়াইচিং মারমা (৭), ফটিকছড়ি ইউনিয়নের ধুপছড়ি গ্রামের কুজাইঅং মারমার স্ত্রী লাইপ্রু মারমা (৪০) ও কলমপতি ইউনিয়নের সুগারমিল এলাকার দুলালের স্ত্রী অজ্ঞাত (৩০)। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকই ঘুমন্ত অবস্থায় মাটি চাপা পড়েছে।

নিহত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ৫০০০ করে টাকা ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দূর্যোগ ত্রাণ শাখার প্রধান কমল বরণ সাহা। তিনি জানান, গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য প্রতিটি এলাকার স্কুলগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। খুলে দেয়া হয়েছে সব স্কুল।

হঠাৎ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাউখালী খালের দু’পাশে থাকা ৩ শতাধিক পরিবারে প্রাণে রক্ষা পেলেও পাহাড়ি ঢলে নিয়ে গেছে জীবনের সম্বল সবটুকুই। গৃহহীন হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রিজ কালভাটসহ অংখ্য অবকাঠামো।

Exit mobile version