কাউখালীতে ব্যবসায়ী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী তুষা মারমা গ্রেপ্তার

fec-image

কাউখালীর চেলাছড়া থেকে ব্যবসায়ী অংচাজাই মারমা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী তুষা মারমা (২৭)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘ এক বছরের প্রচেষ্টায় এবং পুলিশের বিভিন্ন লোভনীয় অফারে সাড়া দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশেরই পাতা ফাঁদে আটকা পড়ে।

আটকের পর পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে সে। গ্রেপ্তার হওয়া তুষা মারমা চেলাছড়া গ্রামের মংকিউ কার্বারীর ছেলে।

উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ২০ আগষ্ট রাঙ্গামাটির কাউখালীর চেলাছড়া গ্রামের পাইমাপ্রু মারমার ছেলে ব্যবসায়ীঅংচাজাই মারমা (৪০)কে সন্ত্রাসীরা গুলি ও পরে জবাই করে হত্যা করে।

এঘটনায় নিহত অংচাজাই মারমার স্ত্রী পাইঅং মারমা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৬/৭জনকে আসামী করে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

প্রথম অবস্থায় এ হত্যাকান্ডের সাথে আঞ্চলিক সংগঠনের সম্পৃক্ততার কথা ধারণা করা হলেও পুলিশের তদন্তে তা ভিন্ন দিকে রূপ নেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউখালী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, নিহত অংচাজাই একজন ব্যবসায়ী ছাড়াও এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলো। পাহাড়ের নিয়মানুসারে এলাকার বিচার আচার এবং সামাজিক কার্যক্রমগুলো কার্বারীরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

কিন্তু অংচাজাই খুব অল্প সময়ে এলাকার মানুষের কাছে বিশস্ত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠায় কোন বিচার আচার এমনকি সরকারী যে কোন সাহায্য সহযোগীতার জন্য মানুষ তার কাছেই ছুটে যেতো। ফলে ঐ এলাকার কার্বারীর ক্ষমতা ক্ষুন্ন হতে থাকে।

ওসি জানান, এমন প্রতিহিংসা থেকেই চেলাছড়া গ্রামের মংকিউ কার্বারীর ছেলে তুষা মারমা দীর্ঘদিন যাবৎ অংচাজাইকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ হত্যাকান্ডের পেছনে খাগড়াছড়ি থেকে ভাড়াটিয়া খুনি সংগ্রহ করতে অর্থের যোগান দেয় ঐ এলাকার চাইশিউ মারমা।

তার সাথে নিহত অংচাজাই মারমার জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। মামলার পর চাইশিউ মারমা মায়ানমার হয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে মায়ানমার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সেখানে জেল খাটছে।

পুলিশ জানায়, এ হত্যাকান্ডের সাথে মোট ৭জন সরাসরি জড়িত ছিলো বলে স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার হওয়া তুষা মারমা। এর মধ্যে ২জনকে স্পেশাল খুনি হিসেবে খাগড়াছড়ি থেকে ভাড়ায় আনা হয়। কিন্তু তাদের নাম আটক তুষা মারমা জানাতে পারেনি।

বাকী ৫জনই চেলাছড়া এলাকার বলে সে জানিয়েছে। অবশিষ্ট আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের স্বার্থে পুলিশ তাদের নাম বলতে চাচ্ছেনা।

ওসি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, এ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে দীর্ঘ সময় এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। তিনি জানান, বাকী আসামীরাও খোব দ্রæত গ্রেপ্তার হয়ে যাবে।#

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেপ্তার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন