parbattanews

কাউখালীতে ভয়াবহ আগুনে পুড়লো মার্কেট, ক্ষতি ২ কোটি টাকা

কাউখালী প্রতিনিধি:

কাউখালী সদরে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে গেছে ২৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি অফিস কক্ষ। এতে ক্ষয়ক্ষতি ২ কোটি টাকা ছাড়াবে বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্থরা।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত তিনটা নাগাদ উপজেলা সদরের আজম মার্কেটে এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত তিনটার সময় আজম মার্কেটের মধ্যভাগ থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়।  ‍মুহুর্তের মধ্যেই আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেটের মূল সড়কে ৩৩ ও ১১ কিলো ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন থাকায় ভয়ে কেউ উদ্ধার কাজে আসার সাহস পাচ্ছিলনা।

ফলে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের ব্যবধানেই পুরো মার্কেট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে লাইব্রেরী, মুদি, টিন, সার, কাপড়, স্বর্ণের দোকানসহ অন্তত ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কলমপতি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি কার্যালয় সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়। এছাড়া সারের ডিলার অপুর ২ লক্ষ ৫০ হাজার ও মুদী দোকানদার টুন্টুলালদের নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে এলাকার মানুষের প্রাণপন চেষ্টায় পাশ্ববর্তী ইয়াছিন মার্কেটসহ অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘুমিয়ে থাকা ব্যবসায়ী রিপন জানান, রাত তিনটায় ঘুমে থাকা অবস্থায় ধোয়ার কুন্ডলিতে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। হঠাৎ ভাঙ্গার পর দেখি উপরে নীচে সব জায়গা আগুন। এসময় রিপন ও তার সস্ত্রী আগুনের লেলিহান শিখা থেকে প্রাণে বেঁচে যায়।

আগুন লাগার ৪০ মিনিট পর রাঙ্গামাটি থেকে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ও চট্টগ্রামের রাউজান থেকে ১টিসহ তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসলেও ততক্ষণে পুরো মার্কেট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে তারা দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালানোর পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস রাঙ্গামাটি ইউনিটের স্টেশন অফিসার মোঃ বেলজার হোসেন।

তিনি জানান, তদন্ত স্বাপেক্ষে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করা সম্ভভ হবে। সকালে পুড়ে যাওয়া এলাকায় পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন কাউখালী আর্মি ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা।

অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে দাবি করেছেন কাউখালী স্থায়ী ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি টুন্টুলাল দে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুদ্দিন।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, জেলা পরিষদের সদস্য অংসুইপ্র“ চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম চৌধুরী, কাউখালীতে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমনি আখতার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কমল বরণ সাহাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

Exit mobile version