parbattanews

প্রণোদনার তালিকা প্রণয়নে মাটিরাঙা পৌরসভা কাউন্সিলর‘র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা ও ওএমএস তালিকা প্রণয়নের অনিয়মনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌরসভার মেয়রকে অনুরোধ জানিয়ে পত্র দিয়ে উপজেলা প্রশাসন।

অপরদিকে পৌর কাউন্সিলর আব্দুল খালেক তার বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণিত অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি পৌরসভার মেয়র মো. শামসুল হকের ষড়যন্ত্রের শিকার।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্প্রতি সারা দেশের মতো খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডেও প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা ও এমএস তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়।

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেকের নিয়োগ করা দুই প্রতিনিধি এলাকার লোকজনকে ত্রাণ‘সহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে তাদের জাতীয় পরিচয় ও পরিবার প্রতি দুইশ টাকা করে আদায় করে।

স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলর আব্দুল খালেক উল্টো হুমকি দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযোগ দায়ের করে।

মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাস জানান, স্থানীয়দের অভিযোগে প্রেক্ষিতে মাটিরাঙা সহকারী কমিশনার ফারজানা আক্তার ববি‘কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত অভিযোগের সতত্যা পেয়েছে।

তিনি বলেন, এটা ফৌজদারী অপরাধ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌরসভার মেয়রকে অনুরোধ জানিয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে।

পৌরসভার মেয়র মো. শামসুল হক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তালিকা প্রণয়নের সময় টাকা আদায়কারী সংশ্লিষ্ট পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেকের প্রতিনিধি মো. সাইফুল ও এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেককে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সতর্ক করে নোটিশ দেওয়া হবে।

এ দিকে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেক তার বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণিত অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফেনে বলেন, এটা তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আর এ ষড়যন্ত্রে খোদ পৌরসভার মেয়র শামসুল হক জড়িত(আব্দূল খালেকে অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত)।

তিনি বলেন, (তার ওয়ার্ডে) ২২০ জনের তালিকা করা হয়েছে। কারো কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হয়নি। অভিযোগকারীদের কেন হুমকি দিলেন প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন তার কাছে (অডিও রেকর্ড আছে) এমন অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।

Exit mobile version