parbattanews

কাধে কাঁধ মিলিয়ে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুল

গুইমারা প্রতিনিধি:
উন্নয়নের সুফল প্রান্তিক মানুষ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে গুইমারা রিজিয়ন অধিনায়ক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম সাজেদুল ইসলাম এএফডব্লিসি, পিএসসি,জি বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে দেশের সকল নাগরিগকে কাধে কাঁধ মিলিয়ে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
৬ অক্টোবর বিকাল ৩টায় খাগড়াছড়ির নবসৃষ্ট গুইমারা উপজেলায় তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
 গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ:প্রধান শিক্ষক বাবলু হোসেনের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া।
বিশেষ অতিথি পার্বত্য জেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। বর্তমান সরকার সারাদেশের ন্যায় পাহাড়েও ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। জনগণ সে উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কথা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাজ করারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নৌকার বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরি চৌধুরী, সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার রুবায়েত মাহমুদ হাসিব, পিএসসি,জি, এবং গুইমারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মেমং মারমা, গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশিল রঞ্জন পাল বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও সমাপনি অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে ৩নং সিন্দুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রেদাক মারমা, গুইমারা কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাজিম উদ্দীন, গুইমারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. জায়নুল আবদীন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ম্রাসাথোয়াই মগ, গুইমারা স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অনেক  নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর  ১৯টি স্টল অংশ গ্রহণ করেছে। একেক করে প্রত্যেকটি স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শেষে অন্যান্যদের সাথে নিয়ে ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, রচনা, ক্যুইজ ও উন্নয়ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের এবং মেলায় স্টল প্রদানকারী সকল প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয় এবং প্রধান অতিথির সম্মানার্থে এলাকার মৌসুমি ফল বিতরণ করেন উপসহকারী কৃষি অফিসার মুজিবুর রহমান এবং আবদুর রহিম মজুমদার।
Exit mobile version