parbattanews

কাপ্তাইকে শীঘ্রই মৌজা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত

18194262_1303950826368015_683559979326468812_n

নিজস্ব প্রতিনিধি :

রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে ডিফরেস্ট হওয়া এলাকার কয়েক হাজার স্থায়ী বাসিন্দার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শীঘ্রই ওই এলাকাকে মৌজা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর মাধ্যমে উত্থাপিত বহুল কাঙ্খিত এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২৩তম বৈঠকটি জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম ব্লকের ২য় লেবেলে অবস্থিত কেবিনেট কক্ষে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, রাঙামাটির সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, সদস্য এমএ লতিফসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ।

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২২তম বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুমোদন ও সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি আলোচনা ও বিবিধ বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে কাপ্তাইয়ের সংরক্ষিত এলাকাগুলোকে সরকারিভাবে ডিফরেস্ট করে মৌজাভুক্ত করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্যে সুপারিশমালা হয়ে গেছে। এখন প্রজ্ঞাপন জারির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এর আগে বিগত ২২তম মিটিংয়ে কাপ্তাইবাসীর দীর্ঘদিনের এই দাবিটি উত্থাপন করে কাপ্তাইকে মৌজা ঘোষণা করার প্রস্তাবটি পাশ করার দাবি জানিয়েছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। তার জোরালো পদক্ষেপের কারনেই অবশেষে স্থায়ী কমিটির সকল সদস্য ঐক্যমত পোষণ করে বুধবার ২৩তম বৈঠকে কাপ্তাইকে মৌজা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপারিশ মালা প্রদান করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

একই বৈঠকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আধুনিকায়নে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের জন্যে ২০কোটি টাকার একটি বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেনারেল হাসপাতালের জন্যে এবং নানিয়াচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জন্য আগামী ডিসেম্বর মধ্যেই একটি করে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থায়ী কমিটি।

তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত অপর এক সিদ্ধান্তে জানানো হয়েছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নতুন শিক্ষক না দিয়ে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাউকেই স্বীয় পদ খালি করে অন্যত্র বদলী করা যাবে না।

Exit mobile version