কাপ্তাইয়ের দুর্গম পাহাড়ে বনপ্রহরীদের জন্য ১৫৭ বছর পর মসজিদ নির্মাণ

fec-image

রাঙামাটি কাপ্তাইয়ের দুর্গম পাহাড়ের ভিতর বন বিভাগ দেড়’শ বছর পর নির্মাণ করল মসজিদে কুবা।দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে বনপ্রহরীদের নামাজ আদায়ের জন্য নির্মাণ করা হয় মসজিদে কুবা।

কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্ভুক্ত কর্ণফুলী রেঞ্জের মুখ বিট অবস্থিত। এ বিটটি ১৮৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিটটি ২ হাজার ২’শ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের সব চেয়ে ঐতিহ্যবাহী সবুজ গাছ ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এ বিটটি। বিশাল বন পাহাড়া দেওয়ার জন্য বিট ও বনপ্রহরী কর্তব্য পালন করলেও নামাজ আদায়ে কোন সুব্যবস্থা ছিলনা। একটি জরাজীর্ণ পাঞ্জেখানা ছিল। বিট কর্মকর্তা /কর্মচারীরা নামাজ বা জুম্মা আদায় করতে প্রায় ৫/৭কিঃমিঃ দূরত্ব গিয়ে নামাজ আদায় করাত । এত দূরত্ব গিয়ে কেউ নামাজ আদায় করত। আবার যেতে যেতে জুম্মার নামাজ পেতনা।

দুর্গম এ বিটের বিশালতা ও মনমুগ্ধকর সবুজ বেষ্টনী দেখতে সম্প্রতি পরির্দশ করেছে সাবেক বনমন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা ইসলাম, বন সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, ডিসিসহ উচ্চপদস্থ অফিসারগন। এখানে নামাজ আদায়ের কোন সুবিধা না থাকায় দীর্ঘ ১৫৭ বছর পর নতুনভাবে নির্মাণ করা হল মসজিদ।

মুখ্য বিট অফিসার কবির আহমদ জানান, ঐতিহ্যবাহী এ বিটে আমরা দায়িত্ব পালন করছি ২২জন বনপ্রহরী। কিন্ত নামাজ বা জুম্মা আদায় করার জন্য ইতিপূর্বে ইমামের কোন ব্যবস্থা ছিলোনা। বর্তমান বন বিভাগ ইমাম নিয়োগ করায় জুমার নামাজ ও রমজান মাসে তারাবি আদায় করছি।

কাপ্তাই কর্ণফুলী রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘ দেড়’শ বছর যাবৎ এখানে কোন মসজিদ ছিলোনা। একটি পুরাতন জরাজীর্ণ পাঞ্জেগানা ছিল। কোন ইমাম ছিলোনা বর্তমান রাঙামাটি বন সার্কেল সুবেদার ইসলাম( সিএফ) ও দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা ছালেহ মো. শোয়াইব খান (ডিএফও)’র, আমার আন্তরিক প্রচেষ্টায় বন কর্মকর্তা /কর্মচারীদের জন্য নতুন ভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এবং ইমাম নিয়োগ দিয়ে নিয়মিত নামাজ ও রমজান মাসে তারাবি আদায় করা হচ্ছে। এটির নাম দেয়া হয় মসজিদে কুবা। গত ১৮ মার্চ বন সার্কেল সুবেদার ইসলাম (সিএফ) উদ্বোধনীর মাধ্যমে জুমার নামাজ আদায় করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন