parbattanews

কাপ্তাইয়ে গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত বাবা-ভাই ও মুমূর্ষু মাকে খুঁজছে ফারিয়া

অবিস্ফোরিত গ্রেনেড যন্ত্রাংশ বিস্ফোরণে নিহত বাবা, ভাই ও মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন মাকে খুুঁজে বেড়াচ্ছে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া ছোট শিশু ফারিয়া।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় দুর্ঘটনা এলাকা বাদশা মাঝির টিলায় সরজমিনে দেখা যায় বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহান ফারিয়া(৮), নিহত বাবা, ছোট ভাই ও মৃত্যুশয্যায় মাকে খুঁজছে। ফারিয়া স্থানীয় দারুল আরকাম মাদরাসার ২য় শ্রেণির ছাত্রী। দুর্ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ আগে সে পাশের এক বাড়িতে সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, রবিবার পরিত্যক্ত অবস্থায় বন হতে কুড়িয়ে পাওয়া অবিস্ফোরিত পুরাতন কিছু গ্রেনেড যন্ত্রাংশ নিহত ইসমাইল মিয়া বাসায় নিয়ে আসে। এবং সন্ধ্যা ৬টায় কুড়িয়ে পাওয়া ঐ যন্ত্রাংশ রান্নাঘরের পাশে রেখে চা খাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিল ইসমাইল ও তার পরিবার। হঠাৎ গ্রেনেড যন্ত্রাংশ বস্তুটি বিস্ফােরণ ও বিকট শব্দে কম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। বিস্ফোরণে পাশে থাকা ইসমাইলের হাতের কব্জি উড়ে যায় এবং শরীর জ্বলসে যায়।এছাড়া পাশা থাকা তার সাড়ে ৪ বছরের শিশু রিফাতের মুখমণ্ডল জ্বলসে গিয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। নিহত ইসমাইলের স্ত্রী সখিনা বেগম এ বিস্ফোরণে গুরুত্বর আহত হয়ে চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রয়েছে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

উপরোক্ত ঘটনার বিবরণ জানান নিহত ইসমাইলের ছোট বোন পারভিন আক্তার ও বৃদ্ধ বাবা আশাদ উল্লাহ।

ইউপি সদস্য আবুল হোসেন জানান, বিস্ফোরণে নিহত ইসমাইলের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে এবং পেট জ্বলসে গেছে। ঘটনার পর থেকে গত দু’দিন যাবত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, লোকাল প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিস্ফোরিত যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়ি কাছে দিয়েছে। লাশ সুরতহাল শেষে বিকাল ৫টায় বাদশা মাঝির টিলায় পিতা-পুত্রের দাফন করা হয়েছে।এ ব্যাপারে এএসপি সার্কেল রওশন আরা রব জানান, কীভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছেনা। তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।সৃষ্ট ঘটনায় কোন মামলা হয়নি তবে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Exit mobile version