parbattanews

কাপ্তাইয়ে স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১

ধর্ষণ

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে নবম শ্রেণীর এক চাকমা স্কুলছাত্রী (১৪) কে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ভোরে এলাকার নেভী রোডে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে ৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কাপ্তাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত এক জনকে আটক করে।

প্রসঙ্গত, ছাত্রীর বাড়ী রাঙ্গামাটি হলেও সে কাপ্তাই বিএফআইডিসি নেভী রোড এলাকায় খালার বাসায় থেকে পড়ালেখা করছে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার দিন ওই ছাত্রী ভোর প্রায় ৫ টায় মর্নিং ওয়ার্ক করার সময় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক সুমন নেভী রোড এলাকা থেকে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে সড়কের পার্শ্বস্থ জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ছাত্রীর মুখ বেধে সুমন ও তার সহযোগী ৪ জন মিলে তাকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

সকাল প্রায় ৭ টার সময় ধর্ষিতা কাঁদতে কাঁদতে এসে তার খালাকে বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে তাকে রাঙ্গামাটি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার দিন রাতে ছাত্রীর মা পূর্ণদেবী চাকমা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক কাপ্তাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ৩, তারিখ ১৬/১২/১৫ ইং। থানা পুলিশ ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত শাহ আলম (২২), পিতা- আবদুল মতিনকে আটক করে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে কাপ্তাই থানার ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিনা চাকমা এক বিবৃতিতে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী এক পাহাড়ি (চাকমা) কিশোরীকে গণধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে চার ধর্ষককে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পাতিবার হিল উইমেন্স ফেডারেশনের পক্ষ থেকে গণ মাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই নিন্দা প্রকাশ করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণসহ নারীর উপর যৌন সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায় পর পর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে চলেছে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন,“পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেটলারদের প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এবং পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না”।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৬ ডিসেম্বরেও এই কাপ্তাইয়ে এক মারমা তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল।

Exit mobile version