কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ
কাপ্তাইয়ে স্বামীর সাথে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের স্বীকার হল এক গার্মেন্টস কর্মী। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভ্যান গাড়িসহ চালককে আটক করা হয়েছে।
কাপ্তাই থানা সূত্রে জানা যায, সোমবার চট্রগ্রাম বিশ্বকলোনী আকবরশা সিএমপি এলাকা হতে ফুঁফার বাসায় বেড়ানোর কথা বলে স্বামী রিপন মিয়া তার স্ত্রীকে কাপ্তাইয়ে নিয়ে আসে। পরে তারা বিকালে বেড়ানোর ও সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য কাপ্তাইয়ের ঝুঁমরেস্তরার ওপারের পার্শ্ববর্তী পরিত্যাক্ত একটি কক্ষে উঠে। সেখানে স্বামী-স্ত্রী উঠে দেখে আরো পাঁচজন মদ্যপান করে অবস্থান করছে। ওদের সাথে পরিচয় হয় ঐ স্বামীর-স্ত্রীর সাথে। এক পর্যায়ে বিকাল গড়িয়ে রাত হয়। তাঁর স্বামী রিপনকে মদ্যপান করিয়ে আমদ প্রোমদ করতে থাকে পূর্বে অবস্থানকারীরা।
রিপনের স্ত্রীর সূত্রে জানা যায়, ভ্যান চালক জাহিদ মিয়া, পিতা আবুল কাশেম, সাং বনগ্রাম, রাঙ্গুনিয়া সহ ৬জনে মিলে রাতভর তাঁকে গণধর্ষণ করতে থাকে।একপর্যায়ে স্ত্রী ঐ স্থান হতে নেমে এসে বিজিবি গেইটে ঘটনাটি জানালে বিজিবি রাতে কাপ্তাই থানায় জানালে কাপ্তাই থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে চন্দ্রঘোনা হতে অভিযোগের ভিত্তিত্বে ভ্যানগড়িসহ ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চালক জাহিদকে আটক করে।
কাপ্তাই থানার ওসি হারুন উর রশীদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ধর্ষিতার ভাষ্যমতে ৬জন মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। তবে তাঁর স্বামী এ ঘটনার পর হতে লাপাত্যা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে স্বামী রিপন মিয়া এর সাতে জড়িত আছে। এ ব্যাপারে স্ত্রী বাদি হয়ে কাপ্তাই থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরো জানান, বুধবার অভিযোগকারিকে শরীরিক পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য রাঙামাটি মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। তবে অভিযোগকারি আপাতত কাপ্তাই থানা হেফাজতে রয়েছে।
