কাপ্তাই কৃষক বাচ্চুর বাগানে কালিপুরি ও চায়না লিচুর বাম্পার ফলন

fec-image

রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার শিলছড়ি পাহাড়ের ঢালুতে হারনামা কৃষক এনামুল হক বাচ্চুর বাগানে এবার কালিপুরি ও চায়না লিচুর বাম্পার ফলন।আগামী এক মাসের মধ্যে তা বিক্রয় করে লক্ষাধিক টাকার আশা করছে।

হাসবে কৃষক ও তার পরিবার। রাঙ্গামাটি পার্বত্যঞ্চলের দক্ষিণ বন বিভাগের নিকট হতে পাওয়া সামাজিক বনায়নের পশুখাদ্য বাগানের পাশা,পাশি ৪ একর পাহাড়ের ঢালুতে বাচ্ছু চাষ করছে কালিপুরি ও চায়না 2 ও 3 জাতের লিচু। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন প্রজাপতির সবজি ও ফল চাষ করেছেন। এবাগানে প্রতিদিন স্ত্রী, ২ মেয়ে ১ ছেলে এবং পাশাপাশি আরও দু’জন শ্রমিক নিয়ে কর্ণফুলী নদী হতে বহু কষ্ট করে পানি তুলে এনে গাছ পরিচর্যা ও পানি দিয়ে থাকেন। একটু ভালো ফলনের আশায়।

সরেজমিন ঘুরে বাচ্চুর বাগানে দেখা যায়, হারনামা এ কৃষক বিভিন্ন মৌসুমি ফসলের পাশাপাশি কালিপুরি লিচু ও চায়না 2 ও 3 লিচু গাছে ব্যাপক ফসল হয়ছে। দেখে চোখ জুড়ানোর মত।

কৃষক বাচ্চু বলেন, আমার সংসারে অনেট টানাপোড়ন ছিল। সংসার ও পরিবার-পরিজন চালাতে আমি হিমশিম খেতাম। সংসারকে সচল করার জন্য আমি ২০১২ সালে চট্রগ্রাম মোজাহের আয়ুর্বেদিক কলেজে শর্ট কো্র্স করেছি। তাতেও আমার সংসার চলে না। পরে বন বিভাগের সহায়তায় সামাজিক বনায়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ফসল করি। এ ফসলের পাশাপাশি কালিপুরি লিচু ও চায়না টু, 3 চাষ করি। আমার বাগানে সার ও পরিচর্যা করতে প্রায় ১৮ থেকে বিশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবার আমার বাগানে মাশাল্লাহ ভালো লিচু আসছে। আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে কালিপুরি লিচু ও একমাসের মধ্যে চায়না 2, 3 বিক্রয় করে লক্ষাধিক টাকা পাওয়া যাবে বলে আশা করছি বলে জানান।

কৃষক এনামুল হক বাচ্চু বলেন, আমি সরকারের নিকট উন্নতমানের এসপাই মেশিন সাহায্য পেলে বাগানে পানি দিতে আর কষ্ট হবেনা বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ হতে দিক নির্দেশনা পেলে সামনে আরও এগিয়ে যেতে পারবো বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন