parbattanews

কাপ্তাই কেপিএম টিলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

FIR KAPTAI copy

কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ

কাপ্তাই নতুনবাজার কেপিএম টিলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় চল্লিশটি ঘর পুড়ে ছাই। ক্ষয়ক্ষতি প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানা যায়। সোমবার সাড়ে বারটার দিকে কাপ্তাই নুতনবাজার এলাকার কেপিএম নিরাপত্তায় কর্মরত শামসু নামের এক লোকের ঘর হতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে এলাকার লোকজন জানান।

আগুন লাগার সাথে সাথে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বসবাসরত মালিক ও ভাড়াটিয়ার প্রায় ত্রিশটি ঘর তাৎক্ষণিক পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে আগুন লাগার সাথে সাথে কাপ্তাই নৌবাহিনী ফায়ার সার্ভিস, কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস এবং এলাকার যুবসমাজের সকল প্রচেষ্টায় প্রায় তিন ঘন্টা প্রাণপণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার যুব সমাজ নিজের জীবন বাজি রেখে চালের উপর উঠে বালতি, কলসি দিয়ে পানি দেয় এবং বিভিন্নভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে আগুন লাগার সাথে সাথে কাপ্তাই নিরাপত্তাবাহিনী ১০ বেঙ্গল, ৫ আর ই, ১৯ বিজিবি এবং কাপ্তাই থানা পুলিশ অগ্নিপাত নিভানোর কাজে সকলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস কার্যক্রম ছিল একেবারে ঢিলেঢালা, যন্ত্রপাতি ভাঙ্গা, ঠিক সময় পানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের উপর এলাকার লোকজন অসন্তোষ প্রকাশ করে।

অনেকে বলে, নেভির ফায়ার সার্ভিস না হলে পাশের অন্যান্য সকল ঘরগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যেত। এদিকে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফসহ সর্বস্তরের লোকজন তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করে।

ক্ষতিগ্রস্তরা আগুন লাগার সাথে সাথে কোন কিছুই বের করতে পারেনি। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে যায়। ত্রিশটি পরিবারের মধ্যে মোশাররফ হোসেন সেলিম, খায়ের মোল্লা, সামসুসহ সকলেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

কাপ্তাই নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম তাৎক্ষণিক ত্রিশ পরিবারকে ত্রিশ হাজার টাকা ১০ কেজি করে চাল এবং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জনপ্রতি এক হাজার টাকা করে বিতরণ করে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সহযোগিতার জন্য সকলকে আহ্বান জানানো হয়। এদিকে আাগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করতে গিয়ে প্রায় দশজন আহত হয়।

Exit mobile version