কাপ্তাই উপজেলার চিংমরন ইউনিয়নের পাহাড়ি দূর্গম এলাকার চংড়াছড়ি মুখের ষাট কৃষি পরিবার স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ঝিড়ি (পানির ছড়া) বাঁধ নির্মাণ করে চাষাবাদের সুবিধা পেল। চিংমরম ইউনিয়নের দুর্গম চংড়াছড়ি, ছংড়াছড়িমুখ ও আগারপাড়া এলাকার উপজাতীয় সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। তাদের একমাত্র পেশা হল পাহাড়ে জুম চাষ করা। ঐ এলাকায় বসবাস করে ৬০ পরিবার। শুস্ক মৌসুমে এলাকার চাষীরা পানি সেচের অভাবে চাষ করতে না পেরে কষ্ট পায়। তাদের কৃষি জমি চাষের অভাবে অনাবাদি পড়ে থাকে।
বহুবছর যাবত অনেক চেষ্টা করেও শুস্ক মৌসুমে পানি রাখতে পারেনি। তাই বছরের পর বছর কৃষকরা সেচের অভাবে কষ্ট পেয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করে আসছে। দীর্ঘ বছর পর ঐ এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মং মারমা নিজে এলাকার লোকদের নিয়ে পরামর্শ করে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে পাহাড়ের পানির ঝর্ণার-ঝিরি বা ছড়ার মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যাগ ভর্তি মাটি ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ করে।
এ ছড়া বা বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে চাষীদের অনাবাদি এলাকায় পানি নেওয়ার জন্য পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বা তাদের সহযোগিতায় কৃষকদের পানির মটর ও পাইপ ইতিমধ্যে সহযোগিতা করেছে। রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মং মারমা বলেন, আমি এ এলাকার তিন তিনবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। যতটুকু পেরেছি ঐ এলাকার কৃষকের সাহায্যে সহযোগিতা করেছি।
তিনি বলেন, কিন্ত কৃষকদের পানি সেচের কোন ব্যবস্থা তেমন করতে পারেনি। তাই চিন্তা করলাম দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ। চাষীদের নিয়ে পরামর্শ করে নিজে মিলে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে প্লাস্টিকের ব্যাগ ভর্তি করে পাহাড়ি ঝর্ণা বা চড়ার মাঝামাঝি বাঁধ নির্মাণ করে সফল হই। এতে কৃষকরা এ পদ্ধতি দেখে অনেক খুশি হয়। এখন তাদের ৫০/৬০ এর অনাবাদি কৃষি জমিতে ধান ও শীতকালীন সবজি ফসল ফলাবে তাদের পরিবার পরিজন এখন আর কষ্ট করবেনা।
এদিকে ওই এলাকার বাসিন্দা নিথোয়াই মারমা কৃষক থুইচা প্রু কার্বারী এবং শিল্পি মারমা বলেন, বহু বছর যাবৎ পর জেলা পরিষদ সদস্যের উদ্যোগে এবং যথাযথ চেষ্টায় কৃষকরা তথা আমরা পানি সেচের একটা ব্যবস্থা পেলাম। এখন আমাদের কষ্ট লাগব হবে।
এছাড়া শুস্ক মৌসুমে পানি রাখার জন্য উন্নয়ন বোর্ডে প্রকল্পটি আরো মজবুত করে দিলে তা আগামীতে কৃষকদের জন্য সফলতা বয়ে আনবে বলে সবার মন্তব্য।