parbattanews

কাপ্তাই লেকে পানির হ্রাস পাওয়া সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৭১ মেগাওয়াট

রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পানি হ্রাস পাওয়ায়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৭১ মেগাওয়াট। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পানি সংকটের ফলে উৎপাদন কমে আসছে।

৫টি ইউনিটের মধ্যে দু’টি ইউনিট পানি স্বল্পতার ফলে বন্ধ রাখা হয়েছে। ইউনিট দু’টি হল ৪ ও ৫ নং ইউনিট। কর্ণফুলী জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২ শত ৪০ মেগাওয়াট। বৃষ্টি না হওয়ায় বছরের ডিসেম্বর, জানুয়ারী মাস হতে ধীরে ধীরে কমতে থাকে কাপ্তাই লেকে পানির পরিমান। ফেব্রুয়ারী হতে মার্চ মাসে প্রচন্ড খরতাপে দিন, দিন পানি হ্রাস পাচ্ছে। বৃষ্ঠপাত না হলে এবং পানির স্তর কমে গেলে বাকি আরও কয়েকটি ইউনিটও বন্ধ রাখতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। আপাতত বৃষ্টির কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি আবদুজ্জাহের জানান, সচারাচর ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে বৃষ্টি হয়না। প্রতি বছর খরায় এ সময় কাপ্তাই লেকে পানি কমে যায়। তখন কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিটের সংখ্যা কমিয়ে দেয়।

তবে কোন কোন সময় জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসেও ভারি বৃষ্টিপাত হবার রেকর্ড রয়েছে। সেরকম হঠাৎ করে বৃষ্টি নামলে কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি করা হবে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০ টার সময় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানা যায় রুলকার্ভ অনুযায়ী বর্তমানে ( পানির পরিমাপ) কাপ্তাই লেকে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মীনস সি লেভেল ( এম এস এল)। কিন্তু বর্তমানে কাপ্তাই লেকে পানি আছে ৮৫.৫১ ফুট( এম এস এল)।

৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২টি ইউনিট সচল রয়েছে। সচল ইউনিট ২টি হলো ২ নম্বর এবং ৩ নম্বর ইউনিট। ২ নম্বর ইউনিট থেকে বর্তমানে ৩৫ মেগাওয়াট এবং ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।

উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। পানি কম থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব গুলো ইউনিট একযোগে চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা। অবশ্য কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটটি বার্ষিক রক্ষনাবেক্ষণ কাজের জন্য বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু আর সব ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম থাকা সত্বেও পানির অভাবে সব ইউনিট চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

Exit mobile version